পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে : শতাব্দী রায়

সাঁইথিয়ায় বলা মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টার নিয়ে তিনি যা বলতেন চেয়েছেন তাঁর উলটো মানে বের করা হচ্ছে বলে বলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।

Satabdi Roy
Satabdi Roy

By

Published : Jun 7, 2020, 8:10 PM IST

দুবরাজপুর 7 জুন : তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গতকাল মন্তব্য করেন সাংসদ শতাব্দী রায়। এরপরেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী ও রাজ্য স্তরের বিরোধী নেতারা এর নিন্দা করেন।

রবিবার দুবরাজপুরে শতাব্দী রায় বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "সবাই আমার পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখেননি। ফেসবুকে কিছু উক্তি করে লিখে দেওয়া, কিছু স্পেসিফিক শব্দকে ব্যবহার করে এটা করা হচ্ছে। আমি ঠিক কী কথা বলেছি আদৌ সবাই শোনেননি আর বোঝার চেষ্টা করেননি। আমি বলেছি যে, যদি আপনার বাড়িতে একজন লোক আসে যেভাবে তাঁকে সুযোগ সুবিধা দিতে পারবেন, যত্ন করতে পারবেন, হাজার লোক এলে সেই সুযোগ সুবিধা দিতে পারবেন না বা যত্ন করতে পারবেন না। এবার এত লোক আসছে, এত পরিযায়ী শ্রমিক আসছে তাঁরা যদি জামাই আদর চায় তাহলে সেটা সম্ভব নয়। BDO-দের সঙ্গে কথা বললেই বুঝতে পারবেন বহু ক্ষেত্রে তাঁদের চাহিদা অনেক বেশি থাকছে। যারা চাইছে না তাদের তো নয়। এটা সবার জন্য বলছি না, যারা চাইছে এটা খাব না, ওটা খাব না। এইতো এখনই শুনলাম, সপ্তাহে দুদিন বিরিয়ানি দিতে হবে বলছে। তাহলে এই চাওয়াগুলো তো সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রেই বলেছি জামাই আদরটা সম্ভব নয়।"


পাশাপাশই তিনি বলেন, "আমি নেগেটিভ ভাবে বলিনি, নেগেটিভ ভাবে করা হচ্ছে। আমি বলেছি যে, সবাই এখন অস্থির হয়ে রয়েছে, সবাই এখন বাড়ি ফেরার তাড়ায় রয়েছে। তার জন্য সবাই ডিস্টার্বড বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু সেটাকে হাইলাইট না করে যেটাকে হাইলাইট করা হচ্ছে সেটা ভুল ইন্টারপ্রেট করা হচ্ছে। আমার কথাকে ভুল মানে করা হচ্ছে, ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ভুলভাবে উক্তিটাকে স্পেসিফিক করা হচ্ছে।"


গতকাল সাংসদ শতাব্দী রায়ের একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। শনিবার সাঁইথিয়ায় শতাব্দী রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা অবস্থায় দাবি-দাওয়া নিয়ে বলেছিলেন, "হাজার হাজার লোকের অসুবিধা । সবাই যদি জামাই আদর চায় তাহলে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। মাছ দিলে বলছে মাংস হয়নি, মাংস দিলে বলছে ডিম হয়নি। এখন সবাই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, এতদিন পরে ওখান থেকে ফিরছে, বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হচ্ছে। আপনার বাড়িতে যদি একজন আসে যে যত্নটা করতে পারবেন, হাজার লোক এলে তা করতে পারবেন না।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details