রামপুরহাট, 29 অগস্ট: মা ও মেয়েকে খুন করার অপরাধে এক সাধুর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন । সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর নাম হরিচরণ দাস ওরফে হরি বাবা। তিনি বীরভূমের মল্লারপুর গোপালবাবা আশ্রমের সাধু হিসেবে পরিচিত এলাকায়। সিউড়ি থানার পানিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত 2020 সালের 17 মে ৷ ঘটনাস্থল মল্লারপুরের ফতেপুর এলাকা। মল্লারপুরের বাসিন্দা মিলন মণ্ডল পেশায় গৃহশিক্ষক ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রেতা। স্ত্রী ডলি মণ্ডল রামপুহাটে ফুড কর্পোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। এক দুর্ঘটনায় একমাত্র মেয়ে রিম্পা মণ্ডলের (17) দেহের একাংশ আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেই চিকিৎসার জন্য মল্লারপুরে গোপালবাবা আশ্রমের সাধু হরিচরণ দাসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তাঁরা ৷ তখনই চিকিৎসা করার জন্য লক্ষধিক টাকায় চুক্তি হয় । দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর কোনও সুফল পাচ্ছিলেন না তাঁরা ৷ শেষে মিলন মণ্ডলের বাড়িতে 15 জুলাই 2020-তে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই সময় পরিবারের সকলকে কাজু বাদামের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল হরিচরণ দাস ৷ সেই সুযোগে ডলি মণ্ডলকে ধর্ষন করে গলা টিপে খুন করে সে।
এখানেই শেষ নয় ৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে বটি দিয়ে গলা কেটে দেয়। খুনের পর সাধু হরি বাবা আশ্রমে চলে যায়। একদিন পর আবারও ফিরে এসে অচৈতন অবস্থায় থাকা মেয়ে রিম্পা মণ্ডলকে খুন করে । অচৈতন্য মিলন মণ্ডলকে বাড়ি থেকে সে সিউড়িতে নিয়ে চলে যায়। 17 জুলাই স্থানীয় দুই বাসিন্দা মিলন মণ্ডলের বাড়িতে এসে মৃতদেহ গুলি দেখতে পায়। তাঁরাই মিলন মণ্ডলের আত্মীয়কে খবর দেয় ৷