বোলপুর, 30 জানুয়ারি:অমর্ত্য সেনের জমি (Amartya Sen Land issue) নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে যে বিবাদ চলছে, সেই নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Slams Visva Bharati VC)৷ এই নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে একহাত নিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বোলপুরে গিয়ে বলেছেন, "ওরা বড় বড় কথা বলেছিল, তাই আমি আজ ছোট্ট একটা ছক্কা মেরে গেলাম ৷"
প্রতীচীতে মুখ্যমন্ত্রী: বীরভূম সফরে গিয়ে সোমবার প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee takes dig at Visva Bharati VC) চলে যান অমর্ত্য সেনের বোলপুরের বাড়ি প্রতীচীতে ৷ সেখানে গিয়ে তাঁর হাতে তাঁর যে জমি নিয়ে বিবাদ তার সরকারি নথি তাঁর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর দাবি, জমি নিয়ে বিশ্বভারতী মিথ্যে কথা বলছে ৷
বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর: এ দিন অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "কেন অসম্মান করা হচ্ছে তাঁকে, যাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলে গর্বিত হতে হয়, যিনি বুদ্ধি এবং মেধায় একজন মহীরুহ, তাঁকে সম্মানিত করার চেষ্টা করেননি ৷ তাঁকে 13 ডেসিমেল জমির জন্য অসম্মানিত করে যাচ্ছেন ৷" এ দিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি বলব, বিশ্বভারতী ভালো করে চলুক ৷ কথায় কথায় সাসপেন্ড, শোকজ না করে, থ্রেট না করে, গৈরিকীকরণে লেফট-রাইট না করে, বিশ্বভারতী ভালো ভাবে চলুক ৷"
রাজীব স্মরণ মমতার: এ প্রসঙ্গে অতীতের বিশ্বভারতীর কথা মনে করিয়ে দিয়ে একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "রাজীব গান্ধি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিশ্বভারতীতে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসে খাবার সুযোগ হয়েছিল ৷ ছাত্রছাত্রীদের রাজীব গান্ধি প্রশ্ন করেছিলেন, তোমাদের আইকন কে হওয়া উচিত ? ছাত্রছাত্রীরা এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন ৷ তখন তিনি বিশ্বভারতীতে বসে বলেছিলেন, মমতাকে দেখে শেখো ৷ আমি কথাগুলো ভুলতে পারি না ৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখনও এসেছিলাম ৷ দীর্ঘদিন আমি বিশ্বভারতীর কোর্ট মেম্বার ছিলাম ৷ শান্তিনিকেতনকে শ্রদ্ধা করি ৷"