কলকাতা, 29 ডিসেম্বর:সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্যুর (Lalan Sheikh Death) ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বিশদ রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC Seeks Report)। চলতি বছরের মার্চ মাসে বগটুই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখ গত 12 ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে মারা যান । এনএইচআরসি তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত ও লালনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে (National Human Rights Commission)৷
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, লালনের শ্বাসরোধ হওয়ার কারণ ফাঁসিই ছিল এবং সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ রিপোর্টে লালন শেখের শরীরের উপরিভাগের আঘাতের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে । এ দিকে, তদন্তে জানা গিয়েছে যে, বীরভূম জেলার রামপুরহাটে সিবিআই-এর ক্যাম্প অফিসের যে শৌচালয় থেকে লালন শেখের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে, সেখানকার শাওয়ারের শেষ প্রান্ত মেঝে থেকে প্রায় 6 ফিট উঁচুতে ৷ আর লালনের উচ্চতা ছিল 5.5 ফিট । গলায় 'গামছা' বাঁধা তাঁর দেহটি আংশিকভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় । তাঁর দেহের কাছে থেকে একটি প্লাস্টিকের টুলও উদ্ধার করা হয়েছে ৷
সিবিআই এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও, লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জেলা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন ৷ তার ভিত্তিতে সিআইডি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ৷ সিবিআই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ৷ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যের নাম এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ এই আধিকারিক গরু-পাচার কেলেঙ্কারির তদন্তেও যুক্ত ৷ বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী পৃথক কেন্দ্রীয় এজেন্সি দলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে সিবিআই ।