বোলপুর, 30 জুলাই: রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার ৷ তাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে ৷ সন্ধ্যা নামলেই ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ৷ সেই নেশায় বুঁদ যুব সমাজ ৷ কোপাই নদীর অদূরে প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে হুক্কার আসর ৷ এমনকী, 18 বছরের নীচেও ছেলেমেয়েরা মজেছে হুক্কায় ৷ বোলপুরের খ্যাতি জেলা, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ৷ বোলপুর পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা বলে ধরা হয় ৷ এই পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডে কোপাই নদীর কিছুটা দূরেই রয়েছে হুক্কাবার ৷ এটি বেআইনি ৷
হুক্কাবার চালাতে 2003 সালের 'সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন' অনুযায়ী কমপক্ষে 10টি লাইসেন্স প্রয়োজন হয় ৷ স্থানীয় পৌরসভা থেকে ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি থেকে মিউজিক লাইসেন্স, নার্কোটিক বিভাগের ছাড়পত্র, ফায়ার লাইসেন্স, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, স্টাফ ও লেবার লাইসেন্স, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে নো অবজেকশন, পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন ৷ এর সঙ্গে হুক্কাবারে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলক ৷
আরও পড়ুন: এবার সল্টলেকেও বন্ধ হচ্ছে হুক্কা বার! কেএমসি'র পথেই বিধাননগর পৌরনিগম
সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সব লাইসেন্স ছাড়াই শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া রাস্তায় চলছে পশালবনী নামের হুক্কাবার ৷ সন্ধ্যা হলে এখানে ভিড় জমে তরুণ-তরুণীদের ৷ 18 বছরের নীচে কারও হুক্কাবারে প্রবেশের অধিকার নেই ৷ এখানে এসবে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী ছাড়াও এই বোলপুর-শান্তিনিকেতনে রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পচর্চা কেন্দ্র ৷ সেখানে প্রশাসনের নাকের ডকায় এভাবে হুক্কার আসর বসায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে। কেন নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন ?