বোলপুর, 1 ডিসেম্বর : যাত্রীবাহী বাসে করে চলছে কয়লা পাচার। দুবরাজপুর, ইলামবাজার, খয়রাশোল প্রভৃতি জায়গা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে নিয়ে আসা হচ্ছে কয়লা। বোলপুর শহরের বাইরে সেই কয়লা বাস থেকে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরে ছোট ছোট মেটাডোরে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এভাবেই চলছে কয়লার সম্পূর্ণ বেআইনি কারবার। নজর নেই পুলিশ প্রশাসনের। এমনই ছবি ধরা পরল ইটিভি ভারতের ক্যামেরায়।
বীরভূমে যাত্রীবাহী বাসে বেআইনি কয়লা পাচার, সমস্যায় যাত্রীরা - বেআইনি কয়লা
দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের খয়রাশোল, দুবরাজপুর ও ইলামবাজারে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি কয়লার কারবার ৷ কয়লা মাফিয়াদের এতটাই দৌরাত্ম্য় সেখানে, যে কোনও অপরিচিত ব্য়ক্তি ওই সব এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন না ৷ এক কথায় ওই এলাকাগুলি কয়লা মাফিয়াদের ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত ৷ যেখানে রাতের অন্ধকার নামতেই শুরু হয় কয়লা পাচার ৷ চলে ভোররাত পর্যন্ত ৷
দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের খয়রাশোল, দুবরাজপুর ও ইলামবাজারে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি কয়লার কারবার ৷ কয়লা মাফিয়াদের এতটাই দৌরাত্ম্য় সেখানে, যে কোনও অপরিচিত ব্য়ক্তি ওই সব এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন না ৷ এক কথায় ওই এলাকাগুলি কয়লা মাফিয়াদের ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত ৷ যেখানে রাতের অন্ধকার নামতেই শুরু হয় কয়লা পাচার ৷ চলে ভোররাত পর্যন্ত ৷ ছোটো ছোটো ম্য়াটাডর, বাইক, গোরুর গাড়ি, ভ্য়ানে চলে কয়লা পাচার ৷ এবার সেই ছবিটাই বদলে গেল ৷ রীতিমতো যাত্রীবাহি বাসে করে কয়লা পাচার শুরু করেছে মাফিয়ারা ৷ যাত্রীবাহি বাসের ভিতরে বোঝাই করা থাকছে কয়লার বস্তা ৷ দুবরাজপুর, খয়রাশোল থেকে কয়লা বোঝাই বাস এসে দাঁড়াচ্ছে বোলপুর শহরের ঠিক বাইরে শিবতলা মোড়ে ৷ সেখানেই ঠিকা শ্রমিকদের দিয়ে বাস থেকে কয়লার বস্তা খালি করানো হচ্ছে ৷ প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এই রুটের বাসগুলিতে কয়লা বোঝাই করে আনা হয় ৷ এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থেকে কয়লা বোঝাই করা হয় বাসে ৷ বাসে করে কয়লা নিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে যাত্রীদের ৷ বাসের ভিতরে কয়লার ধুলো উড়তে থাকে ৷ তার মধ্য়েই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের ৷
এ নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য় করতে চাননি বাস চালক ৷ শুধু জানান, তাঁরা কিছুই জানেন না ৷ জোর করে বাসের মধ্য়ে কয়লার বস্তা তুলে দেওয়া হয় ৷ আর যাঁরা এই বস্তাগুলি বাসে তুলছেন এবং নামাচ্ছেন তাঁদের কথায়, তাঁরা ঠিকা শ্রমিক, ফোনে তাঁদের যা নির্দেশ দেওয়া হয়, তাই তাঁরা করেন ৷ কে এর মালিক বা কারা এই কয়লা পাচার করাচ্ছে ? তা তাঁরা জানেন না ৷ পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের ৷