কলকাতা, 8 এপ্রিল : তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, উপপ্রধান খুন এবং তার পরবর্তী হিংসায় 9 জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ৷ প্রকৃত খুনিকে ধরতে তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল ৷ বীরভূমের রামপুরহাটে বগটুই গ্রামের 1 নম্বর ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হন (HC directs CBI probe into Bhadu Sheikh Murder and Bagtui Massacre in Rampurhat Birbhum) ৷
অভিযোগ, উপপ্রধানের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে 21 মার্চ, সোমবার রাত থেকেই তাঁর অনুগামীরা তাণ্ডব চালায় গ্রামে ৷ সেই রাতে 10-12টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ জানা গিয়েছে, 9 জন এই ঘটনায় পুড়ে মারা গিয়েছেন ৷ এদের মধ্যে 2টি বাচ্চা রয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠন করেন ৷ বৃহস্পতিবার, 24 মার্চ বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন ৷ পাশাপাশি সরকারি চাকরিও দেন ৷ ওই দিন নাটকীয় ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হল ভাদু শেখ খুনে অন্যতম মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসনকে ৷ তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় ৷ আনারুল হোসেন দাবি করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাকে ফোন করার পরেই সে আত্মসমর্পণ করেছে ৷
আরও পড়ুন : Anarul Hossain Arrest : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেতেই তৎপর পুলিশ, তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার ‘পলাতক’ আনারুল
এরপর দিন 25 মার্চ রামপুরহাট বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ দুই বিচারপতি বলেন, "আইনের উপর যাতে মানুষের ভরসা থাকে, তাই সিট-এর পরিবর্তে সিবিআই-এর হাতে এই তদন্ত হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ।"