রামপুরহাট, 22 মার্চ : রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনায় পুলিশি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে ৷ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই জেলা প্রশাসন ও পুলিশের থেকে আলাদা রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্যের তরফে ৷ একদিকে জেলাশাসক, অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার রিপোর্ট তৈরি করছেন গোটা ঘটনা নিয়ে ৷ রিপোর্ট তৈরি করতে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় ৷
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান ৷ তাঁর থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ৷ বগটুই গ্রামে গিয়ে তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 15 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ৷ মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ । ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও । ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন তাঁরা ৷
থমথমে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম আরও পড়ুন : রামপুরহাট নিয়ে রিপোর্ট তলব শাহের মন্ত্রকের, আসছে কেন্দ্রীয় দল
সোমবার রাতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় মৃত্যু হয় রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের (TMC leader killed in rampurhat) ৷ বগটুই গ্রামে নিজের বাড়ির কাছেই খুন হন তিনি ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা ৷ অভিযোগ, সোমবার রাতেই বগটুই গ্রামের 10-12টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় (incident of Bagtui village in Rampurhat) ৷ ভাদু শেখের অনুগামীরাই এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় 8 জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ৷ মৃতদের মধ্যে 7 জন একই পরিবারের সদস্য ৷ এই ঘটনার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা ৷ চলছে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্সের টহল
আরও পড়ুন : রামপুরহাটের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর
এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে রাজ্য ৷ সিআইডির তদন্তকারী দল ও ফরেসনিক দলও এদিন ঘটনাস্থলে যায় ৷ এই ঘটনায় কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে ক্লোজ করা হয়েছে, রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকেও অপসারণ করা হয়েছে ৷ সমগ্র ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে ৷ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিআইএম, বিজেপি-সহ বিরোধীরা।