শান্তিনিকেতন, 30 আগস্ট : ব্যক্তিগত প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগও সত্যি নয় ৷ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও মিথ্যা ৷ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করার পর এই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন উপাচার্য তথা দর্শন বিভাগের অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন ৷ 13 জুন থেকে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন ৷ আর 30 অগাস্ট সবুজকলি সেন সহ তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷
বিশ্বভারতী দর্শন বিভাগের অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন । দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তার পদ সামলেছেন । বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার আগে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি । অভিযোগ, কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে অধিকর্তা পদের মেয়াদ বৃদ্ধি করে উপাচার্য হয়েছিলেন তিনি ৷ স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কর্মসমিতির বৈঠক ডাকেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 13 জুন সবুজকলি সেনকে সাসপেন্ড করা হয়। 28 আগস্টে কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ছাড়াও আরও দুই আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়।
প্রতিশোধস্পৃহা থেকে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, আমি প্রাচীর বিরোধী : সবুজকলি সেন এই প্রসঙ্গে সবুজকলি সেন বলেন, "সম্পূর্ণ প্রতিহিংসা থেকে এই কাজ করা হয়েছে । আমার বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগও সত্যি নয় । আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও মিথ্যা ৷ তৎকালীন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বর্তমানে যা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক নামে পরিচিত তারাই চিঠি দিয়ে আমার মেয়াদ বৃদ্ধি করেন । মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে একথা জানানোর পরও পুনরায় ল অ্যান্ড জাস্টিস মিনিস্ট্রি থেকে আমাকে চিঠি দেওয়া হয় । তাতে স্পষ্ট বলা হয়, যতদিন না স্থায়ী উপাচার্য আসছেন ততদিন আপনি দায়িত্বে থাকুন । আমি আদালতে মামলা করেছি ।" বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ।
পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক চলছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়ার বিরোধী । বিশ্বভারতী অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । এখানে টগর ফুলের গাছ, মেহেন্দি গাছ দিয়ে সীমানা দেওয়ার চল আছে । সীমানা নির্ধারণ করা মানে প্রাচীর দেওয়া নয় ।"