শান্তিনিকেতন, 9 নভেম্বর : প্রতীচী ৷ একসময় অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের এই বাড়িতে বহুবার এসেছেন নবনীতা দেবসেন ৷ বাড়ির সামনে একটা বাগান ছিল ৷ প্রতিবার সেই বাগানের মরশুমি সব ফুল-সবজি সব যেত নবনীতার কলকাতার বাড়িতে ৷ স্মৃতিচারণায় ভাসলেনপ্রতীচীর বর্তমান ম্যানেজার অরবিন্দ নন্দী । উঠে এল নানান কথা ৷
অমর্ত্য সেনের 'প্রতীচী'-র বাগান থেকে মরশুমি ফুল-সবজি যেত 'ভালো-বাসা'য়
একসময় অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের এই বাড়িতে বহুবার এসেছেন নবনীতা দেবসেন ৷ প্রতিবার সেই বাগানের মরশুমি সব ফুল-সবজি সব যেত নবনীতার কলকাতার বাড়িতে ৷ প্রতীচীর বর্তমান ম্যানেজার অরবিন্দ নন্দীর স্মৃতিচারণে উঠে এল সেকথা ৷
লোহার মূল ফটকের একদিকে লেখা বাড়ির নাম ৷ অন্যদিকে অর্মত্য সেনের নাম ৷ এই বাড়ির নামেই তাঁর 'প্রতীচী ট্রাস্ট'। ফটক পেরিয়ে ঢুকলেই মোরাম বাঁধানো রাস্তার দু'দিকে বাগান ৷ সেখানেই নানা মরশুমি সবজি ফুলের চাষ হত ৷ একসময় এখানেই দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন অমর্ত্য সেনের প্রথম স্ত্রী সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন । এমন কী বিবাহ বিচ্ছেদের পরও বহুবার এই বাড়িতে এসেছেন তিনি । শান্তিনিকেতনে এলেই ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে চলত তাঁর দীর্ঘ আড্ডা। প্রতীচীর ম্যানেজার অরবিন্দ নন্দী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "বাগানের টাটকা সবজি খুবই পছন্দ করতে বউদি। আমি নিজেই গিয়ে দিয়ে আসতাম কলকাতার বাড়িতে ।"
এখনও শান্তিনিকেতন এলে অমর্ত্য সেনের অন্যতম সঙ্গী অরবিন্দবাবু ৷ বর্তমানে তিনিই প্রতীচী বাড়ি ও ট্রাস্টের বেশিরভাগ বিষয় দেখভাল করেন । হয়ত এই বাড়ির উঠোন, বাগানচত্বরে আর আসা হবে না নবনীতা দেবসেনের ৷ কিন্তু কোথাও যেন এই স্মৃতিগুলির ভিড়ে থেকে যাবেন তিনি ৷