পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Nalhati Murder Case: নলহাটির চিকিৎসক খুনে ধৃত 5, খুনের কারণ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় পুলিশ

24 মার্চ খুন হন বীরভূমের নলহাটি পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিকিৎসক মদনলাল চৌধুরী ৷ তাঁর খুনের ঘটনায় রবিবার 5 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ যদিও খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় ৷

Etv Bharat
নলহাটি চিকিৎসক খুন

By

Published : Apr 30, 2023, 11:04 PM IST

সিউড়ি, 30 এপ্রিল :নলহাটিতে চিকিৎসক মদনলাল চৌধুরী খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । কিন্তু খুনের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে এখনই কিছু বলতে পারছে না পুলিশ । ধৃতদের সোমবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানান বীরভূমের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের 24 মার্চ দুপুরে বীরভূমের নলহাটি পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের রেলগেট সংলগ্ন নিজের বাড়ি থেকে চিকিৎসক মদনলাল চৌধুরীর হাত পা বাঁধা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । খবর পেয়ে কলকাতা থেকে চিকিৎসকের ছেলে মলয় চৌধুরী বাড়ি ফিরে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের ধরতে সিসিটিভির সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু ঘটনার আগে ও পরে সিসিটিভি অকেজো থাকায় তদন্তে বেগ পেতে হয় পুলিশকে ।

বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান,"খুনের পর অভিযুক্তদের ধরতে সদর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চারটে দল গঠন করা হয় । একটি দল মৃত চিকিৎসকের জমি, বাড়ি, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করে । অন্য দল কয়েকজনের গতিবিধির উপর নজর রাখে। একটি দল মোবাইলের কথোপকথনের উপর নজর রাখে । এরপর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘরটি তদন্তের জন্য ফরেনসিক এক্সপার্টদের হাতে দেওয়া হয় । তারা আঙুল ও পায়ের ছাপ এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে ।"

ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও হাতে না এলেও অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ ধৃতরা হল অভিষেক সালুই ওরফে বাপি, তারক কর্মকার, গোরা খান, রাজেশ শেখ এবং সুখেন কর্মকার । প্রথম চারজনের বাড়ি নলহাটিতে । সুখেন সাঁইথিয়ার বাসিন্দা । পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে । তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না এলে কিছু বলা যাবে না । খুনের কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে পুলিশের মধ্যেই ।

আরও পড়ুন: ইংরেজবাজারে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী 5 বছরের শিশু

এনিয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন,“তদন্ত এখনও শেষ হয়নি । ধৃতরা সকলে সোনার কাজের সঙ্গে যুক্ত । দুজনের সোনার দোকান রয়েছে মৃত চিকিৎসকের বাড়ির নিচে । আমরা সোমবার এদের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতের আবেদন করব । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ জানা যাবে । সেই সঙ্গে এই খুনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে ৷”

ABOUT THE AUTHOR

...view details