বোলপুর, 25 ডিসেম্বর: বিকল্প পৌষমেলায় আতসবাজি (firecrackers) পোড়ানো ও মাইক বাজানো আইন বিরুদ্ধ কাজ হয়েছে ৷ এমনটাই বললেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত (Environmental Activist Subhas Datta) । এমনকী, এই মেলায় শব্দদূষণও মাত্রা ছাড়াচ্ছে ব্যাপক হারে ৷ এরই প্রতিবাদে অতিথি হিসেবে থেকেও বক্তব্য না-রেখে মঞ্চ ছেড়েছিলেন সুভাষ ৷
প্রসঙ্গত, পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের মামলার প্রেক্ষিতে 2017 সাল থেকে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলায় আতসবাজি পোড়ানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু, বিকল্প পৌষমেলায় আইনকে কার্যত উপেক্ষা করে সেই রেওয়াজ ফিরিয়ে আনা হয় ৷ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলায় দূষণ চরম সীমা লঙ্ঘন করেছে, এই প্রেক্ষিতে মামলা করেছিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত ।
দূষণ রুখতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত । তার মধ্যে অন্যতম 2017 সাল থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আতসবাজি প্রদর্শন । কিন্তু বিকল্প পৌষমেলার অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী 24 ডিসেম্বর রাতে যথারীতি আতসবাজি পোড়ানো হয় ৷ পরিবেশ আদালতে নির্দেশেকে কার্যত তোয়াক্কা না-করে কীভাবে বিকল্প পৌষমেলা আতশবাজি প্রদর্শন হতে পারে, প্রশ্ন উঠেছে স্বাভাবিকভাবেই (Poush Mela Pollution controversy) ।
উল্লেখ্য, বিকল্প পৌষমেলায় (Alternative Poush Mela) অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন খোদ পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত । কিন্তু, মঞ্চে তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি । এদিন তিনি বলেন, "বাজি পোড়ানো একদমই ঠিক নয় ৷ বাজি পোড়ানো কিন্তু ফাটানোর থেকেও ভয়ঙ্কর ৷ আমি একদমই সমর্থন করি না ৷ এমনকী, ডিজে বক্স বাজছে মেলায় ।"