দেউচা-পাচামি (বীরভূম), 8 এপ্রিল: জমি অধিগ্রহণ ও উচ্ছেদ রুখতে রাজভবন অভিযানের ডাক দিল দেউচা-পাচামির আদিবাসী মানুষজন । 10 এপ্রিল থেকে এই যাত্রা তারা শুরু করবেন । সিউড়ি, বোলপুর, বর্ধমান, অশোকনগর হয়ে 14 এপ্রিল কলকাতা পৌঁছাবেন কয়লা খনি বিরোধী কয়েকশো আদিবাসী মানুষজন । এই মর্মে ইতিমধ্যেই লিফলেট বিতরণ করে আরও মানুষজনকে তাঁদের প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো শুরু হয়েছে । জল-জমি-জঙ্গলের অধিকার সুরক্ষিত করার দাবিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন দেউচা-পাচামির আদিবাসী নেতারা ।
আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলামুখ কয়লা খনি হতে চলেছে বীরভূমের দেউচা-পাচামি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো জমির মূল্য, ক্ষতিপূরণ ও চাকরির বিনিময়ে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ ৷ এই খোলামুখ কয়লা খনির জন্য প্রয়োজন প্রায় 3400 একর জমির ৷ যার মধ্যে সরকারি জমি 1000 একর । বাকি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে ৷
কিন্তু, এই এলাকায় কমপক্ষে 21 হাজার মানুষের বাস৷ অধিকাংশই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম । বসতি অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি কয়লা খনির জন্য ধ্বংস হবে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, জলাভূমি, চারণভূমি প্রভৃতি । তাই প্রথম দিন থেকেই প্রস্তাবিত কয়লা খনির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন দেউচা-পাচামির বড় অংশের আদিবাসী মানুষজন । প্রথম থেকেই তাঁদের মত, এই প্রজন্ম না জমির বিনিময়ে অর্থ ও চাকরি পাবে, পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে ?