শান্তিনিকেতন, 22 জুলাই: ব্রহ্ম উপাসনার পীঠস্থান বিশ্বভারতীতে আলোচনা সভার বিষয়বস্তু 'কালী পুজোর ধারণা', আর তাই নিয়েই শুরু হল নয়া বিতর্ক (Lecture on Kali in Visva Bharati)৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আলোচনা সভা আয়োজনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে উঠেছে সমালোচনার ঝড় ৷ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রবীন্দ্র অনুরাগী মানুষজন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার জন্য শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । পরবর্তীতে সেই রীতি ধরে রেখে সেখানে গুরুদেব বিশ্বভারতী স্থাপন করেন ৷ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মা কালী পুজো প্রসঙ্গে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ এই নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে (Controversy over lecture on Goddess Kali)।
25 জুলাই বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কনফারেন্স হলে "কালী পুজোর ধারণা" শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে । সেখানে বক্তব্য রাখবেন কলকাতার আলমবাজার মঠের শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সারদাত্মানন্দজি মহারাজ । উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও ।
আরও পড়ুন:ছাত্র আন্দোলনের জের, বসন্তোৎসব বাতিল করল বিশ্বভারতী
উল্লেখ্য, আজও প্রতি বুধবার ও বিশেষ দিনে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহে ব্রহ্ম উপাসনা হয় ৷ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কালী পুজোর রীতি নিয়ে আলোচনা সভা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে ৷ অনেকেরই প্রশ্ন, পড়াশোনার বাইরে কেন এই আলোচনা সভা হবে বিশ্বভারতীর মতো একটি প্রতিষ্ঠানে ? কেউ কেউ বলছেন, এই আলোচনা প্রতিষ্ঠান বিরোধী । কর্তৃপক্ষের তরফে আলোচনা সভার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্যোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আশ্রমিক ও পড়ুয়ারা ৷
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আয়োজিত একাধিক সেমিনার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ যা নিয়ে আন্দোলনেও নেমেছে পড়ুয়ারা ৷ দিনকয়েক আগেই দেবী কালী নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে । কৃষ্ণনগরের সাংসদকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় বিজেপি ৷ আর তার কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কালী নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন ৷ স্বাভাবিক ভাবেই এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে ৷