রামপুরহাট, 13 ডিসেম্বর: সিবিআই'য়ের বিরুদ্ধে এবার তদন্তে সিআইডি! সিবিআই হেফাজতে বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের (Bagtui Massacre) মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর (Lalan Sheikh Death Case) ঘটনায় এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার ৷ সিবিআই হেফাজতে মারধরের ফলে লালনের মৃত্যু হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল লালন শেখের পরিবার ৷ দাবি তুলেছিল পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ৷ সিআইডি তদন্তের কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর পরিবারের সদস্য মুখে ৷ সেই দাবি মেনেই মঙ্গলবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (CID to investigate Lalan Sheikh death case)৷
আরও পড়ুন: 50 লক্ষ ঘুষ না দেওয়াতেই লালনকে খুন, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই (CBI) ক্যাম্পে মৃত্যু হয় লালন শেখের ৷ চলতি মাসেই তাঁকে বগটুইকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ সিবিআই হেফাজতে কী করে লালনের মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ যদিও সিবিআইয়ের দাবি স্নানঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন লালন ৷ তাঁর মৃত্যু নিয়ে মঙ্গলবারই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "লালন শেখের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক । ঘটনার নিন্দা করছি, যদি সিবিআই এতই স্মার্টই হয়, তাহলে তাদের হেফাজতে কেন মারা গেল? তাঁর স্ত্রী মনে হয় এফআইআর দায়ের করেছেন । আমরাও বিষয়টি তুলব ।" তারপরই লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তভার নিল সিআইডি (CID)। ইতিমধ্যে রামপুরহাট থানায় পৌঁছে গিয়েছে সিআইডি'র একটি প্রতিনিধি দল ।
লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যু নিয়ে তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবি সিবিআইয়ের (allegation against CBI) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁর দাবি, তিনজন সিবিআই অফিসার বিলাস, ভাস্কর এবং রাহুল তাঁর কাছে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক দাবি করেছিলেন ৷ না হলে 50 লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছিল ৷ টাকা দিলে এই ঘটনা থেকে তাঁদের বাঁচিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই তিনজন জানিয়েছিলেন বলে দাবি লালনের স্ত্রীর ৷ তিনি এই নিয়ে রামপুরহাট থানায় এফআইআরও দায়ের করেছেন । সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজি-সহ একাধিক মামলা রুজু হয়েছে ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 (খুন), 448,323, 385, 386, 427, 509, 120 বি, 34 ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর ৷ এসপি পদমর্যাদার এক সিআইডি আধিকারিকের নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে ৷ একজন বন্দিকে লকআপে রাখার সময় যে সকল পরিষেবা প্রদান এবং নজরদারির কথা উল্লেখ রয়েছে আইনে সেগুলি সিবিআই হেফাজতে যথাযথভাবে পালন করা হয়েছিল কি না? তাও খতিয়ে দেখা হবে ৷ প্রয়োজনে লালন শেখকে গ্রেফতারে যে তদন্তকারী আধিকারিক রয়েছেন তাঁর সঙ্গেও কথা বলবে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।