বোলপুর, 24 এপ্রিল: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘কেন্দ্রের প্রতিনিধি’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ৷ অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর বিতর্কিত জমি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার সমালোচনা করেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী ৷ এ প্রসঙ্গেই তাঁর মন্তব্য়, "অমর্ত্য সেনের কথা কেন্দ্রের পছন্দ নয়, তাই তাদের প্রতিনিধি তাঁকে 'হেনস্তা' করছেন ৷" পাশাপাশি, বোলপুরে বিশ্বভারতীর অনেক জমিই দখল হয়ে রয়েছে ৷ সেই জমিগুলি নিয়ে কেন চুপ করে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নও তুলেছেন মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক ৷
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিতর্কিত জমি থেকে তাঁকে উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিশ্বভারতী ৷ শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়ি 'প্রতীচী'-র 13 দশক জমি বিশ্বভারতীর ৷ এই অভিযোগে একাধিকবার নোবেলজয়ী অধ্যাপকের থেকে কখনও জমি ফেরৎ চাওয়া হয়েছে ৷ আবার কখনও জমি কব্জাকারী, তো কখনও জমি খালি করার সময় নির্ধারণ করে নোটিশ পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও অমর্ত্য সেনকে বেনজির ভাষায় আক্রমণের ঘটনাও সামনে এসেছে ৷
সমগ্র বিশ্বেই সুবিদিত নাম অমর্ত্য সেন ৷ তাই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগে সরব হয়েছে শিক্ষা মহল ৷ অভিনেতা থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা পাঁশে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপক সেনের ৷ এবার রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা জমি বিতর্ক প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন ৷ এমনকি, নাম না-করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে 'কেন্দ্রের প্রতিনিধি' বলেও কটাক্ষ করেছেন ৷