শান্তিনিকেতন, 30 সেপ্টেম্বর : খোয়াইয়ে (Khoai) কোনওরকম বেআইনি নির্মাণ করা যাবে না । কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে খুশি খোয়াই বাঁচাও আন্দোলনকারী থেকে শুরু করে শিল্পীরা । দীর্ঘ দুই দশক ধরে খোয়াই বাঁচাও আন্দোলন চলছে । খোয়াই বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি । সেই মামলার শুনানি হল এদিন ৷ খোয়াইয়ে কোনও রকম বেআইনি নির্মাণ আছে কিনা, তা নিয়ে রাজ্য বন দফতরের কাছে 29 নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট ।
শান্তিনিকেতন ও তার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে খোয়াই অঞ্চল, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবর্ণনীয় । শান্তিনিকেতনের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুও খোয়াইয়ের সৌন্দর্য । দীর্ঘ দুই দশক ধরে এই খোয়াই এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছে বাড়ি, হোটেল, লজ, রিসর্ট, আবাসন প্রভৃতি, যা নিয়ে নিয়ে সরব হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের বিশিষ্ট মানুষজন । এই 'খোয়াই বাঁচাও' আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর । এছাড়াও, ছিলেন শিল্পী যোগেন চৌধুরী থেকে শুরু করে বিশিষ্টরা । 2013 সালে খোয়াই বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক আন্দোলনকারী । সেই মামলার এদিন শুনানি ছিল ।
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেয় খোয়াইয়ে যাতে কোনরকম বেআইনি নির্মাণ না হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে বন দফতরকে । এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বন দফতরের সচিব বিবেক কুমার । এছাড়াও খোয়াইয়ে কোনরকম বেআইনি নির্মাণ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে 29 নভেম্বরের মধ্যে বন দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট ।