বোলপুর, 8 জানুয়ারি: ভারত-সহ চিন, তাইওয়ান, জাপান, কোরিয়ার সংমিশ্রণে অভিনব চা উৎসবের সূচনা করেছেন কবি তথা বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় । ব্রিটিশদের থেকে পাওয়া চা পানের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁর এই উদ্যোগ ৷ দীর্ঘদিন ধরে 25 রকমের উপকরণ ব্যবহার করে চা বানিয়ে পান করাচ্ছেন এই ক্যালিগ্রাফার ৷ ইতিমধ্যে তাঁর 'বোধি চা উৎসব'-এর চর্চা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে ৷ এই চায়ের স্বাদ পেতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষজন আসেন শান্তিনিকেতনে ।
শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের আধিকারিক । পাশাপাশি তিনি একজন কবি ও ক্যালিগ্রাফার ৷ তাঁর বাড়ির নাম 'কোকোরো'। যা জাপানি কায়দায় তৈরি । এই বাড়িতেই তিনি একটি চা উৎসবের সূচনা করেছেন । যার নাম দিয়েছেন 'বোধি চা উৎসব'। এই চা তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের পাত্র তিনি ব্যবহার করে থাকেন ৷ ব্যবহার করা হয় 25 রকমের উপকরণ ৷ তাঁর বাড়িতে কোনও অতিথি এলে তাঁকে এই চা বানিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বসিয়ে পান করার নীলাঞ্জন ৷ অতিথি কেমন, কোন ঋতু, দিনের কোন সময়, মেজাজ কেমন রয়েছে প্রভৃতির উপর নির্ভর করে কী ধরনের বা কোন স্বাদের চা বানানো হবে ৷ সিরামিকের পেয়ালায় এই চা দেওয়া হয় ৷ তিনবার দেওয়া হয় । প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ পাওয়া যায় ৷
তিনি জানান, ব্রিটিশদের চা পানের যে সংস্কৃতি তা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান ৷ তাই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই এই উৎসবের প্রবর্তন করা ৷ ভারতীয় উপমহাদেশে চা পানের মধ্যে একটা আধ্যাত্মিকতা থাকা উচিত । সে কথা মাথায় রেখেই ভারতবর্ষ সহ চিন, তাইওয়ান, জাপান, কোরিয়ার সংমিশ্রণে শান্তিনিকেতনে 'বোধি চা উৎসব'-এর সূচনা করেছেন নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই রাশিয়া, জাপান, ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বাংলাদেশ প্রভৃতি জায়গা থেকে অতিথিরা তাঁর বাড়িতে এই অভিনব চা পান করেছেন ৷ শিল্পী যোগেন চৌধুরী, অভিনেত্রী অপর্ণা সেনও নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা উৎসবে যোগ দিয়েছেন ৷