শান্তিনিকেতন, 8 জানুয়ারি : BJP সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে আটকে রেখে বিক্ষোভ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে । বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে সেমিনার ছিল সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের । বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়ে যায় সেমিনার । BJP সাংসদ, বিশ্বভারতীর উপাচার্যসহ অন্যদের বের করার জন্য রাজ্য পুলিশের DG-র সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ রাত প্রায় দশটা নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন সাংসদ, উপাচার্য সহ অন্যরা ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, 2019 প্রসঙ্গে আজ বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ এক সেমিনারে যোগ দেন BJP রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত । পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহের বদলে সেমিনার শুরু হয় বিশ্বভারতীর সমাজকর্ম বিভাগে । তালা বন্ধ করে সমাজকর্ম বিভাগের ভেতরে চলতে থাকে সেমিনার । সেমিনার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সাংসদকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা । বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন ।
আজ সকাল থেকেই বনধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী চত্বর । CPI(M)-এর ছাত্র সংগঠন SFI-এর সমর্থকরা বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গ্রন্থাগারের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকেরা । এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে গিয়েও পঠন পাঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করে পড়ুয়ারা । বনধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বভারতী স্বাভাবিক কাজকর্ম । বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও ফিরে যেতে হয় কর্মী ও আধিকারিকদের । নিজের দপ্তরে ঢুকতে পারেননি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও ।
BJP-র রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশ্বভারতী কোট কমিটির সদস্য স্বপন দাশগুপ্তের আজ CAA প্রসঙ্গে এক সেমিনার হওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে । বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকেরা লিপিকা প্রেক্ষাগৃহের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । তাদের অভিযোগ, "BJP বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার করতে চাইছে । রবীন্দ্র আদর্শ বিরোধী এই বক্তৃতা হতে দেওয়া যাবে না ।" সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও উপাচার্যের নামে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ ।