বোলপুর, 19 সেপ্টেম্বর : দিনে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌষমেলা প্রাঙ্গণের গেট ভেঙে দেওয়ার সময় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ ওই ঘটনার পর ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ পেল বিজ্ঞপ্তিতে ৷ তবে এই বার নিষ্ক্রিয়তা নয়, পুলিশি নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে শিল্প উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ৷ সেখানেই পুলিশি নিরাপত্তার অভাব নিয়ে সরব হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সংলগ্ন বাথরুমের জন্য রাখা ফিক্সার ও দুটি জলের পাম্প চুরি গিয়েছে৷ তারপরই এই ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ি করা হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে ৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যেই জায়গা থেকে ওই জিনিসগুলি চুরি গিয়েছে সেই জায়গা থেকে শান্তিনিকেতন থানা থেকে দূরত্ব প্রায় 100 মিটার ৷ এই ঘটনা যদি এখনই থামানো না যায় তাহলে পরবর্তীকালে যে বেশি শক্তিশালী ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প আছে, যা সমগ্র শান্তিনিকেতনের জল সরবরাহ করে সেই পাম্পও চুরি যাবে ৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিনিকেতন থানায় এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ক্যাম্পাস ও আশ্রম এলাকায় 24 ঘণ্টা পুলিশ প্যাট্রোলিংয়ের আবেদনও জানানো হয়েছে ৷
এই ঘটনার পর রাতের বোলপুর কতটা নিরাপদ? ঘুরে দেখল ETV ভারত । বোলপুর স্টেশন থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন রোড, শ্রীনিকেতন রোড, বোলপুর থানা, বোলপুর পৌরসভা, শান্তিনিকেতন থানা, SDPO অফিস, মহকুমা শাসকের অফিস, প্রান্তিক রাস্তা, লালপুল সেতু, বিশ্বভারতী চত্বর সংলগ্ন রাস্তা কার্যত জনশূন্য। এই সকল এলাকায় কোথাও দেখা মেলেনি পুলিশি টহলের ৷