শান্তিনিকেতন, 2 মার্চ : আয়োজক রাজ্য সরকার ৷ তাই কারা বসন্তোৎসবের মাঠে ঢোকার ছাড়পত্র পাবে তা নিয়ন্ত্রণও করবে রাজ্য সরকার ৷ আজ বসন্তোৎসব নিয়ে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে দীর্ঘ বৈঠক হয় ৷ সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
এবার শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবে প্রবেশের ছাড়পত্র নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার - জেলা প্রশাসন
আজ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসন্তোৎসব নিয়ে বৈঠক ছিল ৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উৎসবের দিন সকাল 6 টা থেকে দিনভর বন্ধ থাকছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস । শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থাকছে বিশ্বভারতীর হাতে । উৎসব মাঠে ঢোকার ছাত্রপত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকবে জেলা প্রশাসনের হাতে ৷
আজ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসন্তোৎসব নিয়ে বৈঠক ছিল ৷ উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংসহ বিশ্বভারতী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উৎসবের দিন সকাল 6 টা থেকে দিনভর বন্ধ থাকছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস । কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আবেদনের ভিত্তিতে বসন্তোৎসব করতে 82 লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার । শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থাকছে বিশ্বভারতীর হাতে । ভিড় সামাল দিতে এবার আশ্রম মাঠ থেকে পৌষমেলার মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে বসন্তোৎসব । রাজ্য সরকার এবার আয়োজনের দায়িত্বে থাকায় উৎসব মাঠে কারা ঢুকবে সেই ছাত্রপত্রও নিয়ন্ত্রণ করবে জেলা প্রশাসন ৷
প্রতি বছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকে উৎসব মাঠে ঢোকার ছাত্রপত্রের নিয়ন্ত্রণ । এবার সেই কতৃত্ব থাকছে জেলা প্রশাসনের হাতে । রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, " সবাই এবার বসন্তোৎসব দেখতে পাবেন । পুলিশের অফিসার দায়িত্বে থাকবেন পাশ দেওয়ার জন্য ৷ পড়ুয়া, আশ্রমিক, অধ্যাপক, আধিকারিকেরা ঢোকার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের থেকে পাশ নিতে পারবেন । " রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " মদ্যপ অবস্থায় অনেকে গত বছর বিশ্বভারতীর অনেক জিনিস ভাঙচুর করেছেন । তাই এবছর সকাল 6 টা থেকে দিনভর বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ । "