পাঁড়ুই (বীরভূম), 28 অক্টোবর: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সালিশিসভা ! আর সেখানে প্রধান-উপপ্রধানের সামনে অভিযুক্তকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ৷ আর এই ঘটনায় অপমানে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল নির্যাতিতা নাবালিকা ৷ একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে এমনই মধ্যযুগীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল বীরভূমের পাঁড়ুই ৷ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি নির্যাতিতা ৷ এই ঘটনায় পাঁড়ুই থানার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ জানানো হলেও, ধর্ষণের অভিযোগের মীমাংসা করতে গ্রামে সালিশিসভা বসানো হয় কীভাবে ? উঠছে প্রশ্ন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের পাঁড়ুইয়ের এক আদিবাসী নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এক যুবকের ৷ অভিযোগ, 26 অক্টোবর নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ৷ নাবালিকা বাধা দিলে তাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ৷ এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে পাঁড়ুই থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয় ৷ সেই মতো তদন্তের জন্য দু’দিন পুলিশ আসে গ্রামে ৷ তা সত্ত্বেও দুই পাড়ার মোড়ল-সহ তৃণমূল পরিচালিত সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিমাই মুর্মু ও উপপ্রধান আকাশ শেখের বিরুদ্ধে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে ৷ তাঁদের উপস্থিতিতে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয় ৷
অভিযোগ সালিশি সভায় অভিযুক্ত যুবককে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ৷ পরে সেই জরিমানার টাকা কমিয়ে 50 হাজার করে দেয় মোড়লরা ৷ আর সেখানেই ঘটনায় ইতি টেনে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ আর তার পরেই অপমানে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালিকা ৷ তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ৷ তবে প্রশ্ন উঠছে, পাঁড়ুই থানায় জানানো সত্ত্বেও কীভাবে গ্রামে তৃণমূল নেতা, প্রধান ও উপপ্রধানের উপস্থিতে ধর্ষণের বিচারের সালিশি সভা বসে ?