নলহাটি, 23 ডিসেম্বর: টিকটিকি, সাপের পর এবার মিড-ডে মিলের খাবারে ইঁদুর ! শনিবার বীরভূমের নলহাটি 1 নম্বর ব্লকের কুরুমগ্রাম মহিষপাড়া 180 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনায় বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা ৷ আতংক ছড়িয়েছে পড়ুয়া থেকে গর্ভবতী, সকলের মধ্যে ৷ খাবারে ইঁদুর থাকার অভিযোগ পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান নলহাটি 1 নম্বর ব্লকের বিডিও সৌরভ মেহেতা ৷
আজ সকালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থেকে 73 জন শিশু ও গর্ভবতীকে মিড-ডে মিলের খিচুড়ি দেওয়া হয় ৷ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই খিচুড়ি খাওয়ার সময় কেউ ইঁদুরের পা, কেউ বা দেহাংশ দেখতে পান ৷ এর পরেই তাঁদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে ৷ খবর জানাজানি হতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা ৷ ডেকে পাঠানো হয় রাঁধুনি লক্ষ্মী মহারাজকে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসীরা ৷
যদিও লক্ষ্মী মহারাজের বক্তব্য, “আমি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসে ঝাঁট দিয়ে বাচ্চাদের বসার ব্যবস্থা করেছিলাম ৷ এরপর নতুন বস্তা থেকে চাল নিয়ে ধুয়ে রান্না বসিয়েছিলাম ৷ তখন কোনও ইঁদুর ছিল না ৷ খাবার যখন পরিবেশন করি তখনও ইঁদুর দেখতে পাইনি ৷ অথচ কীভাবে ইঁদুর হাঁড়িতে এল বুঝতে পারছি না ৷” অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী অন্নপূর্ণা লেটের দাবি, “যত্ন সহকারেই খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, কীভাবে খাবারে ইঁদুর পড়ল জানি না ৷” যত্ন সহকারেই যদি মিড-ডে মিলের খাবার তৈরি হয়, তাহলে ইঁদুর কীভাবে ইঁদুর পড়ল রান্নায় ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ৷