শান্তিনিকেতন, 8 সেপ্টেম্বর : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে খুশি পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা । বহিষ্কৃত 3 পড়ুয়াকে পঠন-পাঠনে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ এটাই মূল দাবি ছিল আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের । এমনকী 12 দিন ধরে বিশ্বভারতীতে যে আন্দোলন চলছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, এমনটাও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।
গত 27 অগস্ট থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করে চলছে বিক্ষোভ । চারদিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গীত ভবনের বহিষ্কৃত ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য । সম্প্রতি 3 পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । সেই বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবিতে চলছিল আন্দোলন ।
এরই মাঝে ভবনের সামনের বিশৃঙ্খলা সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । সেই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে বহিষ্কার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, 3 পড়ুয়াকে অবিলম্বে পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে । লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্যও করেন বিচারপতি । পাশাপাশি বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস থেকে সমস্ত রকমের আন্দোলন প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
এ দিন আদালতের পর্যবেক্ষণে খুশি পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা । তাঁরা জানাচ্ছেন, তাঁদের মূল দাবি ছিল বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে । আপাতত সেই নির্দেশই দিয়েছে আদালত ৷ তবে আদালতের নির্দেশ মেনে 'বিশ্বভারতী -শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ" আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও জানান তাঁরা ৷