গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে অভিষেক মহম্মদবাজার, 10 মে:দেউচা-পাচামির কাজ কবে হবে, নিয়োগ কবে হবে? মহম্মদবাজারে এসে বুধবার গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের অবশ্য নিয়োগ নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক ৷ সময় লাগলেও কাজ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷
তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রায় এই মুহূর্তে বীরভূমে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সভা সমাবেশের মাঝেই এদিন, লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে শহিদ ভারতীয় সেনা জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক ৷ শহিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন অভিষেক৷ সেই সঙ্গে, রাজেশ ওরাংয়ের পরিজনদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দ্রত করে দেওয়ার জন্য দলকে নির্দেশও দেন তিনি।
বীরভূমের 'জনসংযোগ যাত্রার' দ্বিতীয় দিনে ময়ূরেশ্বরে রোড-শো করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মহম্মদবাজারেও জনসভা করেন তিনি ৷ আর সেখান থেকেই মহম্মদবাজারের বেলঘরিয়া গ্রামে লাদাখে শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানের বাড়িতে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 2020 সালের 16 জুন লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত খণ্ডযুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন রাজেশ ওরাং ৷ এদিন শহিদ সেনা জওয়ানের পরিজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গেই চা পান করেন অভিষেক ৷ অভিষেকের দাবি, অনেকেই এই শহিদদের মনে রাখেন না ৷ কিন্তু শহিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক কর্তব্য ৷ আর সেকারণেই তিনি এখানে এসেছেন ৷ পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই অভিষেক জানতে পারেন, তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কৃষক বন্ধুর মতো সরকারি পরিষেবাগুলি থেকে বঞ্চিত ৷ এরপরই দলের নেতাদের অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দ্রুত তাদের এই সরকারি পরিষেবাগুলির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ৷
অন্যদিকে, শহিদ জওয়ানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শহিদ জওয়ানদের পরে কেউ মনে রাখেন না ৷ আমি ওঁদের বাড়িতে এসে কথা বললাম ৷ জানতে পারলাম ওঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য অবেদন করেনি। আমি আমাদের দলের নেতাদের বলেছি যাতে তাঁদের এই কাজগুলি করে দেওয়া হয় ৷ আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতি মতো আগেই আর্থিক সাহায্য ও সরকারি চাকরি দিয়েছে।" জওয়ানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও এদিন কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দেউচা-পাচামি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি ৷ দেউচা-পাচামির জন্য জমিদাতা এক গ্রামবাসী প্রশ্ন করেন, "দেউচা-পাচামির কাজ কবে হবে? কাজ তো বন্ধ আছে !" সেই সঙ্গে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধু পুলিশেই চাকরি দেওয়া হচ্ছে ৷ যাদের যোগ্যতা আছে, অথচ পুলিশে চাকরি করতে চায় না তাদের কী হবে, জানতে চাওয়া হয় অভিষেকের কাছে ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আশ্বাস দিয়ে বলেন, "একটু সময় লাগবে ৷ সব কাজ হবে ৷ কাজ ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ৷ পুলিশে চাকরি বিষয়টি দেখছি আমরা।" সেই সঙ্গে, তিনি বলেন, "একটু সময় লাগবে, কাজ হবে, নিয়োগও হবে।" বেলঘরিয়া গ্রামে সরকারি প্রকল্প থেকে 30টি বাড়ি করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়ে যান তৃণমূল সাংসদ।