বীরভূম, 8 সেপ্টেম্বর : এবার ATM লুটের টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল রক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় রামপুরহাট থানার 1 কনস্টেবল, 1 ভিলেজ পুলিশ ও 5 সিভিক ভলান্টিয়ারকে গতকাল সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, 26 অগাস্ট রাতে উত্তর 24 পরগনার জগদ্দলের একটি ATM থেকে কিছু দুষ্কৃতী 89 লাখ টাকা লুট করে ৷ ওই টাকার একটি বড় অংশ নিয়ে দুষ্কৃতীরা বীরভূমের রামপুরহাটে আশ্রয় নেয় ৷ গাড়ির চালক ও দুষ্কৃতীদের খোঁজে নামে পুলিশ ৷ তদন্তে জানা গেছে গাড়ি চালকের নাম রাজ হালদার, দলের আরও এক জনের নাম তন্ময় দে ৷ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেয় ওই দু'জন ৷
পুলিশি তদন্তে প্রথমে উদ্ধার হয় 4 লাখ টাকা ৷ পরে বীজপুর থানার পুলিশ এক মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার করে প্রায় 3 লাখ 30 হাজার টাকা ৷ তাকে গ্রেপ্তার করে ৷ ওই মহিলা সম্পর্কে তন্ময়ের স্ত্রী ৷ আরও জানা গেছে, টাকা ভরতি ব্যাগ নিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটে ঢোকে ৷ রামপুরহাট রেল ফটকের কাছে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা গাড়িটিকে আটক করে ৷
এই ঘটনায় ব্যারাকপুর পুলিশের অভিযোগ, টাকা ভরতি ব্যাগ সহ গাড়ি আটকের খবর ওই পুলিশ কর্মীরা দিতে দেরি করে ৷ ব্যারাকপুর পুলিশ তদন্তের স্বার্থে CID-কে এমনই তথ্য দেয় ৷ এই মর্মে রামপুরহাট থানার 7 জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ এবিষয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ লিঙ্ক ধরে আমরা এগোচ্ছি ৷ ATM-র টাকা লুটের ঘটনায় বীরভূমের যোগ রয়েছে ৷"