রামপুরহাট, 3 ফেব্রুয়ারি: ভুল বুঝিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানা এলাকার একটি গ্রামে । ঘটনায় নাবালিকার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করে নলহাটি থানার পুলিশ ৷ তবে ঘটনাটি মাড়গ্রাম থানা এলাকায় ঘটে বলে তা রেফার করা হয় মাড়গ্রাম থানায় ৷ নির্যাতিতা নাবালিকাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । শুক্রবার অভিযুক্তদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ পকসো আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের মাড়গ্রাম থানা এলাকার একটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ৷ কাজ আছে বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে ৷ এরপরই তাকে মোটর সাইকেলে করে তুলে স্থানীয় একটি মাঠে নিয়ে যায় পাশের গ্রামের আলি হোসেন সেখ । সেখানে আলি হোসেনের আরও দুই বন্ধু সাদিকুল শেখ ও আনসারুল শেখ আসে । এরপর তিনজন মিলে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । তারপর নাবালিকা অজ্ঞান হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা স্থানীয় একটি মাজারে ঝাড়ফুঁক করাতে নিয়ে যায় ৷ সেই মাজার থেকে নলহাটি থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
Gang Rape in Birbhum: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার 3 - বীরভূমে গণধর্ষণের ঘটনা
জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তিনজন (Birbhum Gang Rape)৷
এদিকে বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ায় সেদিন বাড়ি ফিরতে পারেননি ওই ছাত্রীর বাবা ৷ পরের দিন এসে শোনেন মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি ৷ তারপর নলহাটি থানা থেকে ফোন করে সিভিক পুলিশ বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি তাদের দ্রুত থানায় যাওয়ার কথা বলেন ৷ এরপর মেয়ের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি শুনে মাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন :প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ শান্তিনিকেতনে