বাঁকুড়া, 19 অগাস্ট : নয় বছরের ছেলের মৃত্যুতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন বাঁকুড়ার ওন্দা থানার রতনপুর গ্রামের চক্রধর পাল ও তাঁর স্ত্রী ৷ পুলিশের দরজায় ঘুরেছেন দিনের পর দিন৷ কিন্তু তারা শোনেনি অসহায় পিতা-মাতার আর্তি ৷ শুরু হয়নি রূপম পালের মৃত্যুর তদন্ত ৷ বাধ্য হয়েই জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন চক্রধর পাল ৷ বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমা শংকর এস অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি ৷
23 জুলাই বাঁকুড়ার পুয়াবাগানের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রূপম পাল স্কুলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে । তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ 1 অগাস্ট মারা যায় রূপম । রূপমের দেহের ময়না তদন্তে তার মাথায় এবং শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় ।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর রূপমের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি তোলে তার পরিবার ৷ তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার দিন টিফিনের সময় রূপমের এক সহপাঠী তাকে মারধর করে । এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে রূপম ৷ অসুস্থ রূপম ক্লাসে মাথা নিচু করে বসেছিল ৷ সেই সময় তাকে ফের মারধর করেন এক শিক্ষিকা । এর পর সে সংজ্ঞা হারালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
রূপমের বাবা চক্রধর পাল ওন্দা থানায় রূপমের এক সহপাঠী, স্কুলের এক শিক্ষিকা এবং এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । মাঝে সপ্তাহ দুই কেটে গেলেও পুলিশ এখনও তদন্ত শুরু করেনি ৷ কাউকে গ্রেপ্তার করা তো দূর-অস্ত, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি ৷ আজ চক্রধরবাবু বাঁকুড়া জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে ছেলের ময়না তদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন ৷
চক্রধরবাবুর অভিযোগ শুনে জেলাশাসক জানান বিষয়টি স্পর্শকাতর ৷ ঘটনার তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন তিনি ৷ দ্রুত তদন্ত শেষ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷