বাঁকুড়া, 10 জুন: সালটা ছিল 1977। সোনামুখীর রাধানগর ৷ প্রথম শো । 25 জনের পুতুল নাচের দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ৷ বাহবা ৷ হাততালি ৷ সেই পথ চলা শুরু ৷ একটি বারের জন্য পিছনে ফিরতে হয়নি ৷ বাকিটা তো ইতিহাস ।
ভালই চলছিল সব কিছু ৷ পুজো-পার্বণ ৷ মেলা ৷ পারিবারিক অনুষ্ঠান ৷ রুটিন করে মিলছিল পুতুল নাচের বায়না । বিনোদন ৷ নাটক-থিয়েটারের পাশাপাশি জায়গা পেত পুতুল নাচও ।
কিন্তু, কালের নিয়মে জীবন উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে । পুতুল নাচের জায়গায় এসেছে বায়োস্কোপ।
প্রথমে সিনেমা ছিল স্থিরচিত্র ৷ কিন্তু বিবর্তনের কালে বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে ৷ স্থির চিত্র পাল্টে গিয়েছে চলমান উন্নত সিনেমায় । তখন থেকেই মানুষ অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন সিনেমায় । নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা আধুনিকতায় মজেছেন । এখন হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ৷ হাতের মুঠোয় বিনোদন । কে আর ঘন্টার পর ঘন্টা খরচ করবে গরমের মধ্যে পুতুল নাচ দেখবার জন্য । ভাঁটা পড়েছে পুতুল নাচ শিল্পে । তবুও বর্তমান সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিল্পীরা পেয়েছেন-পাচ্ছিলেন কাজ । প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মেলায় মিলত পুতুল নিয়ে হাতের কারসাজি দেখানোর সুযোগ । কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ পেয়েছিলেন তাঁরা ৷
কিন্তু, সব কিছু যেন ওলোটপালোট করে দিল করোনা ৷ আর তার দোসর হয়ে যেন হাজির হল লকডাউন ৷ আর এই করোনা এবং লকডাউনের জেরে কার্যত যেন সব শেষ হয়ে গেল ৷ আক্ষেপ শিল্পীদের ।