বিষ্ণুপুর, 17 জুন : আলোর ব্যবসা অন্ধকারে ! আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন কারিগররা ৷ সংকটে বিষ্ণুপুরের বাহারি লন্ঠন শিল্প ৷ বিপদে কারিগররা, ব্যবসায়ীরাও । এমনিতেই টিন, কাচ, বাহারি ডিজাইনে তৈরি শৌখিন লন্ঠন বিকোয় না আগের মতো ৷ চোখ ধাঁধানো চিনা আলোয় ঝুঁকেছে মানুষ ৷ তবু, যেটুকু ব্যবসা ছিল, তাও কেড়ে নিচ্ছে করোনা ৷ করোনা আর লকডাউনে প্রায় দু-বছর ধরে ব্যবসা বন্ধ ৷
এককালে এই লন্ঠনের আলোয় আলোকিত হত গ্রাম থেকে শহর ৷ বিষ্ণুপুরের লন্ঠন রফতানি হত রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে ৷ সে সময় শহরে লন্ঠনের দোকান ছিল দেড়শোটির বেশি ৷ আজ কমতে কমতে কুড়ি-পঁচিশটিতে এসে ঠেকেছে ৷ শিল্পীরা জানান, খারাপ সময়েও কিছু মাল বিদেশে যেত ৷ থিম পুজোয় ব্যবহার হত লন্ঠন ৷ পৃথিবী জোরা অতিমারির দাপটে সে সবও অতীত হতে বসেছে ৷ ফলে লন্ঠনের যে ঘরে 40-45 জন কারিগর কাজ করত, এখন সেখানে কর্মী সংখ্যা দুই থেকে তিন জন ৷
লন্ঠন শিল্পী তারাপদ বাগদি বলেন, "সপ্তাহে দু-দিন কাজ হচ্ছে তো পাঁচ দিন বন্ধ থাকছে ৷ অনেক কারিগর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৷ সরকারি সাহায্য বলতেও কিছু পাচ্ছি না ৷"