বাঁকুড়া, 31 অগস্ট:স্কুলটির বয়স মেরেকেটে বছর আটেক ৷ কক্ষগুলি খাঁ খাঁ করছে ৷ যে স্কুল-প্রাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীদের দাপিয়ে বেড়ানোর কথা, সেখানে পড়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা । ভগ্নপ্রায় জানালা-দরজা ৷ নেই বসার জন্য পর্যাপ্ত বেঞ্চ । ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য লাগানো হয়েছিল সাবমারসিবল পাম্প ৷ তারও দেখা মিলল না স্কুল চত্ত্বরে ৷ সেটি কোথায় গেল, তা কেউ জানে না । এমনকী উধাও হয়ে গিয়েছে ক্লাসরুমের লাইট, ফ্যানও । এমনই দুর্বস্থা বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের অন্তর্গত আড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে সিহিকা সাঁওতাল জুনিয়র হাইস্কুলের ।
তবে স্কুলে রয়েছেন এক শিক্ষক । স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিক মতো বিদ্যালয়ে আসেন না তিনি ৷ যার ফলে প্রায় শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা করার জন্য নিজের গ্রাম ছেড়ে পাড়ি দিতে হয় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ৷ সেখানেই রয়েছে অন্য একটি বিদ্যালয় ৷ বাধ্য হয়ে এই স্কুল ছেড়ে সেখানে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের । বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ৷ রাজ্য শিক্ষা দফতরও শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে উলট পুরাণের চিত্র কেন গ্রামের স্কুলগুলিতে, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাই ৷