বাঁকুড়া, 12 মে : বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন অনেক নার্স । প্রত্যেকেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত । কিন্তু, নানা কারণে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলছেন বাড়ির মালিকরা । এই নিয়ে আজ বিশ্ব সেবিকা দিবসে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের নার্সিং সুপার সরিতা পাল ।
চার্টের মাধ্যমে কোরোনা নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন নার্সরা এই হাসপাতালে বর্তমানে 600 জন নার্স কাজ করেন । এদের মধ্যে 170 জন নার্সিং হস্টেলে থাকেন । অনেকে মেডিকেল কলেজের আবাসনে থাকেন । আর বাকিরা বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন । সরিতা পাল বলেন, "নানা অছিলায় আমাদের অনেক নার্সকে বাড়ি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিচ্ছেন বাড়ির মালিকরা । আমরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য, রোগীদের জন্য লড়াই করছি । অথচ অনেকেই এই কাজকে ভালো চোখে দেখছেন না ।"
দুঃখপ্রকাশ বাঁকুড়া মেডিকেলের নার্সিং সুপারের তিনি আরও বলেন, "আমাদের কয়েকজন কর্মী বাঁকুড়া শহরের প্রতাপ বাগান এলাকায় ও করগাহির এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন । সেই সমস্ত বাড়ির মালিকরা কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন । এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের । বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে জেলা পুলিশ আধিকারিকদের জানিয়েছি ।"
রোগী ও তাদের পরিজনদের কোরোনা নিয়ে সতর্কবার্তা নার্সিং সুপারের এতকিছুর মাঝেও আজ বিশ্ব সেবিকা দিবসে বিশেষ কর্মসূচি পালন করলেন বাঁকুড়া হাসপাতালের নার্সরা । অন্যান্য বছর এই দিনটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বা কলেজের অডিটরিয়ামে পালন করেন নার্সরা । তবে এবছর এই দিনটি একটু অন্যরকমভাবেই পালন করলেন তাঁরা । এবছর আলাদা করে কোনও অনুষ্ঠান নয়, ছোটো ছোটো দল করে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রোগীদের ও পরিজনদের টিপস দিলেন তাঁরা । বিতরণ করলেন সাবান । কীভাবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য মিলবে, সামাজিক দূরত্ব মেনে রোগীর আত্মীয়দের তা বোঝান তাঁরা ।
বিশ্ব সেবিকা দিবসে নার্সিং সুপারের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে