বড়জোড়া, 5 ডিসেম্বর : কখনও ঋণ নিলে সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছিল না । আবার কখনও জমানো টাকা তুলতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল । তাই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয় এলাকাবাসী । তাদের কথা শুনে থানায় ডেপুটেশন দেন বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী । তারপর শুরু হয় তদন্ত । সেই তদন্তেই ভৈরবপুর গ্রামের কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে আর্থিক তছরুপের বিষয় সামনে আসে । তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় দেড় কোটি টাকার হিসেবে গরমিল রয়েছে । সূত্র মারফত এই আর্থিক তছরুপের কথা জানতে পেরে সরাসরি ভৈরবপুর গ্রামে যান ETV ভারতের প্রতিনিধি । কথা বলেন প্রতারিতদের সঙ্গে । তাঁরা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলে সমবায় সমিতির ম্যানেজার ও কোষাধ্যক্ষের দিকে ।
বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের ভৈরবপুর গ্রামের কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি । প্রায় 1700 উপভোক্তা রয়েছে এই সমিতিতে । 13টি মৌজার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এই সমবায় সমিতির উপর নির্ভরশীল । ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, সহায়ক মূল্যে ধান কেনা, জমির সার কেনাবেচা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ঋণদানের মতো কাজকর্ম হয়ে থাকে এই সমবায় সমিতিতে । কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠছিল সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে । কারও অভিযোগ, জমানো টাকা তুলতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । আবার SHG নামক একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অভিযোগ, ঋণ নিলে সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হত না । যতবারই ঋণ নেওয়া হয়েছে সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, সরকার থেকে কোনও ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না । সমস্যার সমাধান করতে বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীর কাছে যান প্রতারিতরা । পুরো বিষয়টি তাঁকে জানান । তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানার সার্কেল ইন্সপেক্টরের কাছে ডেপুটেশন দেন বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী । তারপরই শুরু হয় তদন্ত । সেই তদন্তেই সামনে আসে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি । তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, 2017 থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার হিসেবে গরমিল রয়েছে ।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে ভৈরবপুর গ্রামে যান ETV ভারতের প্রতিনিধি । সেখানে গিয়ে সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন । কেউ বললেন, "বাড়ি তৈরির জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকা রেখেছিলাম । কিন্তু টাকা চুরি করে নিল কোষাধ্যক্ষ । এখন সরকার যদি কিছু অনুদান দেয় তবে আমরা উপকৃত হই ।"