বাঁকুড়া, 1 জুন : করোনার দাপটে বিপুল ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার আমচাষিরা । বাঁকুড়া জেলার পরশমনি অ্যাগ্রো লিমিটেডের প্রচেষ্টায় ভালো ফলন হলেও কার্যত লকডাউনের জেরে আম বিক্রি করা যাচ্ছে না ৷
লালমাটির জেলা বাঁকুড়া ৷ কিন্তু এই মাটিতে আমের ফলন কোনও অংশে কম নয় মালদার থেকে ৷ এই জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার হাজার গাছে আম চাষ হয় । এই অঞ্চলে আমের মরশুমে হিমসাগর, সরিখাস ও ল্যাংড়ার ফলন হয় । এছাড়া অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দোফলা আমের ভাল লাভজনক ব্যবসা আমচাষিদের । তবে আমচাষি থেকে ব্যবসায়ীরা মরশুমি আমের উপর বেশি নির্ভরশীল ।
আমের ফলন ভাল হলেও করোনার দাপটে ক্ষতির মুখে চাষিরা কিন্ত আগের বছর থেকে করোনার জন্য আমের বাজার খুব খারাপ । এই বছরেও লকডাউনে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা । বাঁকুড়া জেলার এই আম মূলত রাজ্য ছাড়াও যায় রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতাতে । কিন্তু এবার দাম পাচ্ছেন না কেউই । হিমসাগর যেখানে এক পিস বিক্রি হত ১৫ টাকায় । তা এবারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে । কাঁচা আমের দাম কমে যাচ্ছে ক্রমশই । দামের জন্য অনেকে কাঁচাতেই আম বিক্রি করে দিচ্ছেন ।
আরও পড়ুন :থিয়েটার পাগল অরিন্দম জীবনের রঙ্গমঞ্চে আজ ভবঘুরে, জোটে না খাবার
যতই চলুক অতিমারির ত্রাস, যতই চলুক লকডাউন, আপামর বাঙালি তো আর আমের স্বাদ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে না । তাই এই অতিমারি শেষে বাঁকুড়ার এই লালমাটিতে আম চাষ আরও প্রাণ পাবে, আরও স্বমহিমায় দেশের বিভিন্নপ্রান্তে পাড়ি দেবে, এই আশায় দিন গুনছেন চাষিরা ।