বাঁকুড়া, 31 মে : রাজ্যের কিষাণ মান্ডিগুলিতে কৃষকদের থেকে সরাসরি চাল কিনে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই এই কিষাণ মান্ডি গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা কৃষকদের থেকে ধান কিনতে টালবাহানা করেন ৷ কখনও হিসেবে গড়মিল করে টাকা কম দেওয়া হয়, কখনও বা ধান না-কিনে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকদের এই অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ বিষয়টি নিয়ে এবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in Bankura Administrative Meeting) ৷ কেন গরিব মানুষ এভাবে কষ্ট পাবেন ও সরকারের বদনাম হবে অথচ দোষীরা শাস্তি পাবে না সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে পুলিশ-ডাক্তার-নার্সের পোশাক তৈরি করাতে চান মমতা
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিষাণ মান্ডিতে সরকারি ভাবে ধান কেনার পদ্ধতিতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে এই সভায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ এদিন পড়ে শোনান ৷ কেন এমন হচ্ছে তা জানতে চেয়ে ধমকও দেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিকদের ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন এবার থেকে প্রতিটি ধান গ্রহণ কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ও ওজন মাপার মেশিনের সঠিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
কৃষকদের থেকে ধান কেনায় গড়মিল, আধিকারিকদের ধমক মমতার খাদ্য ও কৃষি দফতরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, কৃষকদের থেকে ধান কেনার জন্য এবার থেকে তিনটি খাতা তৈরি করে হিসেব রাখতে হবে ৷ লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিনটি খাতা তৈরি করে কৃষকদের থেকে ধান কেনার যাবতীয় তথ্য লিখে রাখতে হবে ৷ আড়তদারদের তালিকা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷