বাঁকুড়া, 17 অক্টোবর: স্বপ্নাদেশ পেয়ে দুর্গাপুজোর শুরু ৷ যেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে মূর্তি পুজো নিষিদ্ধ, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে 21 বছর ধরে উমার আরাধনা করে আসছেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের এক আদিবাসী রমণী ৷ তাঁর নাম সরস্বতী হাঁসদা ৷ বাড়ি হিড়বাঁধ ব্লকে দোমোহানি গ্রামে ৷ তিনি নিজের হাতেই করেন মা দুর্গার পুজো ৷ তবে আদিবাসী নিয়মেই হয় সমস্ত পুজোর কাজ ৷ সপ্তমীতে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রতিমা । আগের বছরের পুরাতন প্রতিমা পাশে সরিয়ে রাখা হয় কাপড় দিয়ে ঢেকে । বিজয়ার পর দিন পুরাতন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় । নতুন প্রতিমা রেখে দেওয়া হয় বছর ভর । তাতে নিত্য পুজো দেন সরস্বতী । এখন উমার আরাধনা করার জন্য জেলার বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির থেকে সরকারি আর্থিক সাহায্য পান তিনি ।
সম্পূর্ণ আদিবাসী অধ্যুষিত দক্ষিণ বাঁকুড়ার দোমোহানি গ্রাম । এই গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী হাঁসদা বলেন, "মা দুর্গা আমাকে স্বপ্নে বলেছিলেন, তোকে আমার পুজো করতে হবে । তারপরেই পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলি আমি । কিন্তু আদিবাসীদের দুর্গাপুজো করা যাবে না ৷ এমনটা বলে আমাদের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ করেছিলেন আদিবাসীদের একাংশই । তবে তাতে আমি থেমে থাকেনি ।" পুজো করার সহযোগিতা চেয়ে হিড়বাঁধ থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরস্বতী । পুলিশের আশ্বাস পেয়ে পুজোও শুরু করেন তিনি । সেই থেকেই এই পুজোর শুরু ৷ আর থামেননি তিনি । 21 বছর ধরে তিনি এই পুজো করে আসছেন ।