বিষ্ণুপুর, 3 জুলাই : বিষ্ণুপুর মানেই সারি সারি ইতিহাস বিজড়িত পুরানো মন্দির ৷ বালুচরী শাড়ি ৷ তার ঠিক এক কোণায় নীলাভ জল ৷ এই জল আর নীলাভ আকাশের সংমিশ্রণে লালবাঁধের (Lal Bandh) দৃষ্টিনন্দন চেহারা । ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে এল এই ঐতিহাসিক লালবাঁধকে কেন্দ্র করে ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূমি সংস্কার এবং ভূমির সামাজিক অবস্থা নিয়ে সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে যে আলোচনা বর্তমানে হচ্ছে সেখানে বলা হচ্ছে, তাদের আমলে ভারতবর্ষ তথা বাংলার সেচ ব্যবস্থাকে ইংরেজ সরকার পুরোপুরি ভাবে নষ্ট করে ফেলেছিল ৷ পুকুর, পুষ্করিণী, সেচ খাল ইত্যাদি সংস্কার না করার ফলেই তা নষ্ট হয়ে যায় । ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকার আসার বহু পূর্বে এই সেচ খাল, পুকুরগুলি তৈরি হয়েছিল প্রাচীন রাজা বা রাজবংশের হাত ধরে ।
ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের প্রভাব গোটা বাংলায় পড়লেও এই মল্লরাজ্য অর্থাৎ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে পড়েনি ৷ কারণ সেই সময় এই এলাকার বাঁধ, পুকুর, পুষ্করিণী, সেচ খালগুলির অবস্থা ভাল ছিল ৷ কৃষিকাজ ঠিকমতো হত । 1881 সালে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক হয়ে আসেন উপেন্দ্রনাথ ঘোষ ৷ তখন এই লালবাঁধ সংস্কার হয়েছিল ৷ তখন কিছুটা খনন করার পরই দেখা যায় নিচে রয়েছে একটা পরিত্যক্ত লোহার খনির বুজে যাওয়া অংশ ৷ আমরা লালবাঁধ বলে যাকে চিনি সেটি আসলে একটি লোহার খনি ছিল ৷ দু-তিন হাজার বছর আগে লালবাঁধ বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছিল এই লোহার খনি ৷