বাঁকুড়া, 17 মে : তিনদিন সাইকেল চালিয়ে ওড়িশার বালাসোর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন । স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয় । কিন্তু বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই । তাই খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে সেখানেই দিন কাটাচ্ছেন 17 জন শ্রমিক ।
বাড়িতে জায়গা নেই, ভিনরাজ্য় থেকে ফিরে তাঁবুতে দিন কাটছে 17 জন শ্রমিকের - insufficient space at home for home quarantine
ওড়িশার বালসোরে একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে সেখানেই আটকে পড়েন । ]15 মে বাড়িতে পৌঁছান এই 17 জন শ্রমিক।
বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার লক্ষ্মীসাগর গ্রামে বাড়ি এই শ্রমিকদের । ওড়িশার বালসোরে একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে সেখানেই আটকে পড়েন । কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । তাই রুজি রোজগারও বন্ধ হয়ে যায় । এই পরিস্থিতিতে শেষমেশ সাইকেলে চেপেই বাড়ি ফেরেন এই শ্রমিকরা । 13 মে ওড়িশা থেকে সাইকেলে করে রওনা দেন । 15 মে নিজেদের গ্রামে এসে পৌঁছান। সিমলাপাল থানা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেয় ।
কিন্তু আলাদা করে কোয়ারানটিনে থাকার পর্যাপ্ত জায়গা নেই । তাই লক্ষ্মীসাগরের শ্যামপুর মৌজা মাঠে পাঁচটি তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা । ব্লক প্রশাসন বা পঞ্চায়েতের তরফেও কোনওরকম সাহায্য মেলেনি বলে, অভিযোগ করেছেন বাপ্পাদিত্য লোহার,গোপীনাথ লোহাররা। তাঁরা জানান, গ্রামে ত্রিপলের জন্য আবেদন করা হলে কোনওরকম সাহায্য করেনি পঞ্চায়েত । শেষমেশ স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সুপ্রভাত লোহারের নেতৃত্বে চাঁদা তুলে এই শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করে গ্রামবাসী ।