বাঁকুড়া, 4 মে : জেলা গ্রিন জ়োন ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও সরকারি বিধি মেনে বাস চলাচল শুরু হল না বাকুড়ায় । সরকারি নির্দেশিকা মত গ্রিন জ়োনগুলিতে বেসরকারি বাস চলাচল করতে পারে । যা বাঁকুড়া জেলা পরিবহন বিভাগ থেকে বাস মালিকদের ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে । তবে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে সেই শর্ত মেনে বাস চালানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জেলার বাস মালিকরা ।
গ্রিন জ়োন বাঁকুড়া, তবুও চলছে না বাস - লকডাউনের খবর
গ্রিন জ়োনে চলতে পারে বাস । কিন্তু তার জন্য মানতে হবে কিছু শর্ত । যা এই মুহূর্তে মেনে বাস চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি ।
গ্রিন জ়োনে চলতে পারে বাস । তবে, কিছু শর্ত মানতে হবে বাস মালিকদের । নিয়মে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাসে কুড়ি জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না । এছাড়াও বাস শুধুমাত্র নিজের জেলার ভেতরেই চলাচল করতে পারবে । বর্তমানে বাঁকুড়া জেলায় 400-রও বেশি বেসরকারি বাস রয়েছে । শর্ত অনুযায়ী জেলার ভেতরে বাস চলাচল করতে হলে 50 থেকে 60 কিলোমিটার একটি বাস আপ ও ডাউন করতে পারবে । এই পরিস্থিতিতে একবার আপ-ডাউন করতে একটি বাসের 30 লিটার তেল খরচ হবে । এর সঙ্গে বাস প্রতি চার জন কর্মী রয়েছেন যাদের দৈনিক হিসেবে বেতন দিতে হবে । সবমিলিয়ে বাসপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা প্রতিদিন ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হবে । এছাড়াও 20 জনের বেশি যাত্রী না তোলার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশ মানতে গেল যথেষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে বাস কর্মী এবং মালিকদের । যার জন্যই গ্রিন জ়োন হওয়ার সত্ত্বেও আজ বাস চলা শুরু হল না বাঁকুড়ায় ।
বাঁকুড়া জেলা বাস মালিক সংগঠনের তরফে সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা কোনও বাসে যদি 20 জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করি এবং মাঝপথে কোনও জায়গায় যাত্রী উঠতে চায় বাসে তাহলে আমরা সেক্ষেত্রে তাদের কীভাবে বাধা দেব ? বাধা দিলেও যাত্রীরা তা শুনতে চাইবেন না এবং জোর করে বাসে উঠে পড়বেন । এই নিয়ে চরম অশান্তি তৈরি হতে পারে । অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার দায়ে আমাদের তখন প্রশাসনের তরফেও হয়রানি করা হবে । 20 জন যাত্রী নিয়ে আমাদের পক্ষে প্রতিদিন বাস প্রতি প্রায় দেড় হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে চালানো কোনও মতেই সম্ভব নয় এবং বিষয়টি আমরা জেলা পরিবহন অধিকর্তাকে জানিয়েছি ।" এ বিষয়ে আজ নবান্নে সরকারের তরফে একটি বৈঠক হওয়ার কথা তিনি শুনেছেন বলেও জানান ।