খাতড়া, 23 নভেম্বর : বাঁকুড়ার খাতড়ায় প্রশাসনিক জনসভা থেকে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ডিসেম্বরের 1 তারিখ থেকে জানুয়ারির 31 তারিখ পর্যন্ত প্রত্যেকের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, ব্লকে ব্লকে বেলা 11 টা থেকে দুপুর 3 টে পর্যন্ত ক্যাম্প করা হবে৷ একাধিক ইশুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি ৷
আজ খাতড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মানুষের কাছে "দুয়ারে দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে ৷" তার জন্য ব্লকস্তরে দ্রুত প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেন তিনি ৷
রাজ্য জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই প্রায় 37 হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "কোরোনা পরিস্থিতিতে দেশে 40 শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে ৷ আমি গর্ব করে বলতে পারি বাংলায় 40 শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছি ৷ বাংলায় কোনও সরকারি কর্মীর চাকরি যায়নি ৷ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে চাকরি করতেন এমন অনেকেই কাজ হারিয়েছেন ৷ কিন্ত রাজ্যে তেমনটা হয়নি ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের কেউই কাজ হারাননি ৷ মাওবাদী হানায় নিরুদ্দেশ হয়েছেন এমন অনেকের পরিবারকেও চাকরি দেওয়া হয়েছে ৷ ক্ষমতায় আসার পর আমরা জঙ্গলমহলে জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি দিয়েছিলাম 10 হাজার জনকে ৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন সিনিয়র কনস্টেবল হয়ে গেছেন ৷ সিভিক ভলান্টিয়ার, আশা প্রকল্পের অধীনে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরও বেতন বাড়ানো হয়েছে ৷ এমনকী চাকরির বয়স-সীমাও বাড়ানো হয়েছে ৷" পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, "100 দিনের কাজের টাকা দেরি করে পাঠায় কেন্দ্র ৷"
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, "2021 সালের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে যেমন 5 কেজি রেশন পাচ্ছিলেন, সেটা পাবেন ৷ আমরা সরকারে থাকলে রেশনের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেব ৷" জানান, ইতিমধ্যেই 100 শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ ভূমি সংস্কার দপ্তরের তরফে অনেক পরিবারকে পাট্টা বিলি করা হয়েছে ৷ খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের উন্নয়নকল্পে একাধিক কাজ করা হয়েছে ৷ 75 শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে গেছে ৷ বাকি 25 শতাংশ বাড়িতে 2022-এর মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ বিষ্ণুপুর ঘরানার বিভিন্ন শিল্প নিয়ে আর্কাইভ তৈরি করা হবে ৷ মাটি সৃষ্টি প্রকল্পের অধীনে বাঁকুড়ায় 8 হাজার বিঘা জমিতে কাজ চলছে ৷ সাড়ে 7 কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথির সুবিধা পাচ্ছেন ৷ কার্ড হোল্ডাররা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন ৷ এমনকী ওই কার্ড দেখালে সরকারি হাসপাতালেও একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে ৷