বাঁকুড়া, 29 জুন : বাঁকুড়ায় কোরোনায় আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি ও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত । প্রতিবছর মার্চ মাস থেকে শুরু হয় ডেঙ্গির প্রকোপ । স্ক্রাব টাইফাস ছড়ায় । এই দুই রোগের প্রোকোপ দূর করতে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে শহরাঞ্চলের পৌরসভাগুলি ।
কিন্তু এবছর বছর কোরোনার থাবায় জেলাবাসীদের অবস্থা খুবই শোচনীয় । কোরোনা রুখতেই তৎপর স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও পৌরসভাগুলি । রাজ্য সরকারি তরফে টানা 70 দিন লকডাউন চলে । তারপর শিথিল করা হলেও পুরোপুরি আনলক করা হয়নি । তাই নজর পড়েনি জেলার অন্য দুই রোগের দিকে । ডেঙ্গি ও স্ক্রাব টাইফাস । কোরোনা সংক্রমণের মধ্যেই মাসের পর মাস বেড়ে চলেছে এই দুই রোগের প্রকোপ ।
এই স্ক্রাব টাইফাস কি ? এটি একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ । মাইট অর্থাৎ একটি ছোটো পোকার কামড়ে মানুষের শরীরে স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমিত হয় । এটা রিকেটসিয়া গ্রুপের একটি ব্যাকটেরিয়া । ওই ছোটো পোকা যখন কামড়ায় তার থেকে 6 থেকে 20 দিনের মধ্যে ছোটো একটি ফুসকুড়ির মতো হয় । তা ফেটে গিয়ে পরে জ্বর আসে । গা হাত পা ব্যাথা করে । শরীরের কিছু গ্ল্যান্ড ফুলতে থাকে । পরে আক্রান্তের লিভার, হার্ট ও ব্রেনের উপর প্রভাব পড়ে । কিছু ক্ষেত্রে এই রোগে প্রাণ নাশও হতে পারে ।
গতবছর বাঁকুড়া জেলায় মার্চ মাসে একজন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন । এপ্রিল মাসে ডেঙ্গি অথবা স্ক্রাব টাইফাসের কোন আক্রান্তের খবর মেলেনি । মে মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন 1 জন এবং স্ক্রাব টাইফাসে 4 । জুন মাসে ডেঙ্গি 6 জন এবং স্ক্রাব টাইফাসে 9 জন । জুলাই মাসে তা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 17 জন এবং 3 জন । অগাস্ট মাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় 29 জন এবং স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয় 45 জন । সর্বশেষ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় 43 জন এবং স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছায় 76 জনে । গত বছর একজন মারা গিয়েছিলেন ডেঙ্গিতে ।