বাঁকুড়া , 6 জুলাই : "তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের ধারায় অভিযোগ হওয়া দরকার ।" 4 জুলাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার ।
রাজ্য BJP-র সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, "4 জুলাই বাঁকুড়ার মাচানতলাতে যেভাবে লকডাউন ভেঙে প্রায় এক হাজার মানুষের সমাগম করে তিনি সভা করেছেন, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।"
ওইদিনের জনসভা থেকে দিলীপ ঘোষের সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ বলেছিলেন, "যাঁর সামনে ও পিছনে 18 জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে রাজনীতি করতে হয়, তাঁর উচিত শাড়ি চুড়ি পরে রাজনীতি করা ।" পাশাপাশি, বাঁকুড়ার সাংসদ সম্পর্কেও সেদিন মন্তব্য করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । বলেছিলেন, লকডাউন চলাকালীন সাংসদ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি ।
কী বলছেন সাংসদ সুভাষ সরকার ? তৃণমূল সাংসদের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে BJP সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, "আমরা লকডাউনের সময় দুস্থ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি । আর তৃণমূল নেতারা ত্রাণ সামগ্রী চুরি করে জনদরদি সাজার নাটক করেছে । ওইদিন তৃণমূল সাংসদ যেভাবে জমায়েত করে পথসভা করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । কারণ এই অবস্থায় এত লোকের সমাগম করার অনুমতি পুলিশ দিতে পারে না ।"
দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে যে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ করেছিলেন তার উত্তরে সুভাষ সরকার বলেন, "যে দলের নেত্রী একজন মহিলা, সেই দলের সাংসদের মুখে এ-ধরনের কথা মানায় না । তিনি দেশের মহিলাদের অপমান করেছেন ৷"
এদিন বাঁকুড়া শহরের রামপুরে একটি লজে BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ভার্চুয়াল সভাতে যোগ দেন সাংসদ সুভাষ সরকার । অনুষ্ঠানে সুভাষ সরকারের সঙ্গে দলের জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র-সহ উপস্থিত ছিলেন অন্য নেতৃত্ব এবং প্রায় 30 জন দলের কর্মী ও সমর্থক।