লাউগ্রাম, 22 নভেম্বর: রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট ৷ তার আগে কাঠগড়ায় শাসক দল ৷ এবার কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইস্যুতে নয়, নির্মাণ প্রকল্প ৷ বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস বিধানসভার অন্তর্গত লাউগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্ত ছোটপাগলা গ্রাম ৷ প্রায় 7টি গ্রামের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে গ্রামে তৈরি হয়েছিল একটি সেতু ৷ তৈরির পরে ভেঙে পড়ে সেতুটি । সেতু ভাঙনের জেরে চরম বিপাকে একাধিক গ্রাম ৷ লাউগ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াডাঙা, মঙ্গলপুর, লক্ষ্মণহাটি, মধুবন, মহামায়া কলোনি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের পারাপারে একমাত্র সেতু এটি (Bridge collapsed in Laugram Grampanchayat in Bankura) ৷
2017 সালে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে একটি সেতু নির্মাণ হয় ৷ ঘটা করে এর উদ্বোধনও হয় ৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সে বছরে ফাটল ধরে সেতুটিতে ৷ পরে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে সেতুটি ৷ এদিকে সেতু পেরিয়েই চাষের জমি, স্কুল- সবকিছু ৷ কাঠের মাচা তৈরি করে কোনওরকমে দাঁড় করানো হয়েছে সেতুটিকে ৷ তার উপর দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা, গ্রামবাসী ৷
বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বারেবারে একাধিক স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি ৷ কেউ বা শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ৷ কারও বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ার আর ঠিকাদারের মধ্যে মতের অমিল হওয়ায় সেতু ঠিকঠাক তৈরি করা যায়নি ৷ স্থানীয় এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, গ্রামবাসীদের তত্ত্বাবধানে এই সেতু তৈরির কাজ শেষ হলে হয়তো এই বিপত্তি ঘটত না ৷ এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কাটমানির তত্ত্বকে সামনে এনেছেন ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে গিয়ে সেতুর এই পরিণতি হয়েছে । এমনকী এমন অভিযোগও শোনা যাচ্ছে, সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদার নাকি স্থানীয় নেতাকে 1 লক্ষ 80 হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন ৷ তাই সেতু তৈরির খাতে কম টাকা খরচ হয়েছে ৷ ফল, সেতু ভেঙে পড়া ৷
আরও পড়ুন: চলছে সেতু সংস্কার, ঘুরপথে যাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা