বাঁকুড়া, 23 ডিসেম্বর:বাঁকুড়া জেলার মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর ৷ আর বিষ্ণুপুর মানেই অলিতে গলিতে ইতিহাসের ছোঁয়া । ইতিহাস যেন সত্যিই ফিসফিস করে কথা বলে এই শহরের প্রত্যেকটা মহল্লাতে । বিষ্ণুপুর লাল মাটির বাঁকুড়া জেলাতে অবস্থিত এমন এক নগর যেখানে স্থাপত্য, ভাস্কর্য, শাস্ত্রীয় সংগীত এবং পাশ্চাত্যের এক অপরূপ মেলবন্ধন ঘটেছে । একটা সময় এই নগরে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন মল্লরাজারা ৷ তাদেরই ফেলে যাওয়ার নিদর্শন দেখতেই তো ফি বছর পরিযায়ী পাখির মতন একানে ভিড় জমায় পর্যটকেরা । মল্লরাজাদের সেই ফেলে যাওয়া নিদর্শন বলতে দলমাদল কামান, জোড়শ্রেণির মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, গুম ঘর, লালবাঁধ আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে আপন মনে । শুধু তাই নয়, মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে প্রবেশ করার সময় ফেলে আসতে হয় জয়পুরের ঘন সবুজ বনানী, তাও মন কাড়ে পর্যটকদের ।
এই বছরও পর্যটকদের বিনোদন দিতে সেজে উঠেছে মল্লগড় হিসাবে পরিচিত বিষ্ণুপুর । তার ওপর বাড়তি পাওনা ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর মেলা ৷ গুটি গুটি পায়ে চলতে চলতে এই মেলার এ বছর 36তম বর্ষে পর্দাপণ ৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন এই মেলার । আর মেলার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কার্যত চাঁদের হাট বসে গিয়েছিল মন্দিরনগরীতে ৷ উপস্থিত ছিলেন একাধিক প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট অতিথিবর্গ । আগামী 29 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা । এই মেলায় নামি-দামি বিভিন্ন সংগীত শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে বিভিন্ন শিল্প প্রদর্শনী ।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, "ডিসেম্বর মাসের এই সময় থেকে শুরু করে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রচুর পর্যটক বিষ্ণুপুর এবং জয়পুরে আসবেন ৷ যাতে তাদের কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি নজরদারি চালনো হবে ৷ ট্যুর গাইডদেরও ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে ।"