পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 6, 2023, 9:47 PM IST

ETV Bharat / state

Bankura Medical: হাসপাতালের মানবিক ছবি! অসমের ইসমাইল ফিরে পেল তাঁর পরিবারকে, উদ্যোক্তা ডাক্তারবাবু

প্রায়শই নজরে পড়ে হাসপাতালের 'অদেখা ছবি' ৷ কিন্তু এবার দেখা গেল হাসপাতালের মানবিক রূপ ৷ 'পথ ভোলা' অসমের চিরাং জেলার মানিকপুর থানার লুংঝার গ্রামের ইসমাইল হোসেন বাড়ির পথ ধরলেন।

Bankura Medical
অসমের ইসমাইল ফিরে পেল তাঁর পরিবারকে

অসমের ইসমাইল ফিরে পেল তাঁর পরিবারকে

বাঁকুড়া, 6 মে: যেখানে দেশ তথা রাজ্যে প্রায়ই চোখে পড়ে অব্যবস্থাপ গাফিলতি সেখানে অন্য ছবি ধরা পড়ল, রাজ্যের বাঁকুড়ায় ৷ একথায় পথ দেখাল বাঁকুড়া। শুধু চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলাই নয়, দীর্ঘ ছ'মাস 'নিখোঁজ' ভিন রাজ্যের মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের সৌজন্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে 'পথ ভোলা' অসমের চিরাং জেলার মানিকপুর থানার লুংঝার গ্রামের ইসমাইল হোসেন বাড়ির পথ ধরলেন।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ডাঃ সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায় এই খবর জানিয়ে বলেন, "গত 12 এপ্রিল বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে সারা শরীরে, মাথায়, হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত-সহ 'অজ্ঞাত পরিচয়' এক ব্যক্তিকে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়। এই অবস্থায় সার্জারি বিভাগে তার চিকিৎসা শুরু হলেও 14 দিন জ্ঞান ফেরেনি। পরে জ্ঞান ফেরার পরেও সাত দিন সে স্বাভাবিক হতে পারেনি। পরে কথাবার্তা বলা শুরু করলে বোঝা যায় তিনি অসমের বাসিন্দা।"

তিনি আরও বলেন, "এই অবস্থায় সহকারী সুপার ডাঃ মলয় পাত্র ওই ব্যক্তির সঙ্গে আধঘণ্টা কথা বলেন। পরে তাঁরই বিশেষ উদ্যোগে 'হ্যাম রেডিও'র মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্প্রচারিত করা হয় ও পুলিশের মধ্যস্থতায় 'নিখোঁজ' ইসমাইল হোসেনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।" একইসঙ্গে ওই ব্যক্তি বাসের ছাদ থেকে পড়ে আহত হন ও পুলিশ বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করে । প্রাথমিকভাবে এটাই জানা গিয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:শিশু চুরির জের, বাড়ল প্রসূতি বিভাগের নিরাপত্তা

খবর পেয়েই সুদূর অসমের গ্রাম থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন 'নিখোঁজ' ইসমাইল হোসেনের দাদা মুকশেদ আলি, প্রতিবেশী কাশেম আলিরা। তাঁরা বলেন, "ছ'মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। বিষয়টি মানিকপুর থানায় জানানো হয়েছিল। ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার আশা যখন ছেড়েই দিয়েছিলাম ঠিক তখনই পুলিশের মাধ্যমে খোঁজ পাই ও এখানে আসি।" ভাইকে ফিরে পেয়ে তাঁরা প্রত্যেকেই খুশী ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ABOUT THE AUTHOR

...view details