বাঁকুড়া, 13 মে :অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি ! /মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি ।
না । রবি ঠাকুরের দামোদর শেঠের মতো মুড়কির মোয়া, ভাজা ভেটকি, ঘি, বোয়ালের পেট, কাঁকড়ার ডিম ইত্যাদি কিছুই চাই না এই মানুষটির । কারণ দামোদর শেঠের মতো কলেবর নয়, আর ওজনও তিন মন নয় । ছিপছিপে লম্বা চেহারার এই মানুষটি যেকোন একটা তরকারি আর এক টুকরো মাছ হলেই অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারেন প্রায় দু'কেজি ওজনের চালের ভাত (Damodar Seth of Bankura) । তাঁর খেয়ে যেমন তৃপ্তি, তাঁকে খাইয়েও তৃপ্ত হন হোটেল মালিক ৷
ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে গেল কি ? তা যদি হয়ে যায়, তাহলে এবার সব ভনিতা ছেড়ে আসল কথায় আসা যাক... হীরবাঁধের পড়্যারডাঙ্গা গ্রামের দুলালচন্দ্র মুর্ম্মু । পেশায় খাতড়া মহকুমা আদালতের মুহুরি । প্রতিদিন বাড়ি থেকে 16 কিমি সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে আসেন ৷ কাজের ফাঁকেই এসডিও মোড়ের একটি হোটেলে দুপুরে ভাত খান ৷ এই হোটেলে মাত্র 50 টাকায় পাওয়া যায় পেট ভর্তি খাবার ৷ সেখানে দুলাল একাই এক কেজির বেশি চালের ভাত খান । মাত্র 50 টাকায় ওঁকে খাইয়ে প্রায় 40 টাকা লোকসান হয়ে যায় ৷ তাও খুশি হোটেল মালিক । তিনি বলেন, "এখন মানুষ বেশি খেতেই চায় না । কিন্তু উনি খান । লোকসান হলেও ওঁকে খাইয়ে আমরা আনন্দ পাই ।"