বাঁকুড়া, 2 জুন : নভেল কোরোনা থাবা বসিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে । সেই থাবায় জখম হয়েছে বাঁকুড়া জেলার ব্যবসাও । দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার জেরে প্রায় 100 কোটি টাকার ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার রামসাগরের মাছের ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা । প্রায় 50 বছর ধরে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার রামসাগরে চলছে মাছের ডিম পোনা তৈরির কারবার । বর্তমানে এই কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন প্রায় 150 জন হ্যাচারি মালিক । এছাড়াও অপ্রত্যক্ষভাবে এই ব্যবসায় যাঁদের রুটি-রুজি চলে তাদের সংখ্যাটাও 8 থেকে 10 হাজার । দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন রামসাগরের এই সমস্ত ডিম পোনা ব্যবসায়ীরা ।
অতীতে চিরাচরিত পদ্ধতিতেই এখানে মাদার ফিশ থেকে ডিম বের করে ডিম পোনা তৈরি করা হতো । বর্তমানে প্রযুক্তির পরিবর্তন এসেছে । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে জেলার অধিকাংশ হ্যাচারি তৈরি হয়েছে । মাদার ফিশ থেকে এখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের ডিম ছোট ছোট চৌবাচ্চার মধ্যে ছাড়া হয় । সর্বপ্রথম পেরেন্ট ফিশের জন্য পুকুর প্রস্তুত করা হয় । এরপর ব্রিডিং পোলে প্রজনন করানো হয় । সেখান থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয় । এবার সেগুলো থেকে হ্যাচিং করে চারা পোনা বা ডিম পোনা উৎপাদন করা হয় । এই পুরো পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে 72 ঘণ্টা । সেই জলে অতিরিক্ত অক্সিজেন দিয়ে সেই ডিম থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বা চলতি ভাষায় চারা তৈরি করা হয় ।