বাঁকুড়া, 10 এপ্রিল: বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের অন্যতম বনজ সম্পদ মহুল বা মোল। স্থানীয়রা অবশ্য মোল বলেই জানেন। মোল সংগ্রহ করে এই জেলার বিষ্ণুপুর, জয়পুর, রায়পুর, সারেঙ্গা-সহ সোনামুখীর কয়েকশো পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবন ধারণ করে (Mahul cultivation in Bankura)। সাতসকালে সোনামুখীর জঙ্গলঘেরা মাচডোবা, মৌরাশলি, শিবেরবান্দ এলাকার মানুষরা মহুল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ৷
জঙ্গলমহলে চাষাবাদ কম হয়, একশো দিনের কাজও সেভাবে হচ্ছে না। তাই সংসার চালানোর জন্য এইসময় এক মাস মহুল সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করেন এখানকার মানুষ । এই মহুল তাঁরা বাইরে থেকে আসা পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন । অনেকে আবার বাড়িতে খাবার হিসাবেও ব্যবহার করেন ৷
বাড়ছে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম, তাই কমতে শুরু করেছে মহুল গাছের সংখ্যা । সাধারণত এই গাছ কুড়ি মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় । হলুদ রঙের এই ফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, খনিজদ্রব্য, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে । গ্রামবাংলার মানুষ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না করার পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন এই মহুল ৷ মহুয়া তেল থেকে চামড়ার বিভিন্ন রোগের ওষুধও তৈরি হয় ।