বাঁকুড়া, 26 জুলাই : বাঁকুড়া মানেই লাল কাঁকুড়ে মাটি, মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর জলাধার, শুশুনিয়া পাহাড় ৷ আনাচে কানাচে খোঁজ করলেই খুঁজে পাওয়া যায় ইতিহাস ৷ এমন সব ইতিহাস, যার স্মৃতিচারণ হয়তো সেভাবে হয়নি । নান্দনিক কিছুর খোঁজে আমরা সাধারণত পাড়ি দিই নিজের জায়গা থেকে অনেকটা দূরে ৷ কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় তেমন অনেক কিছুই রয়েছে আশপাশেই ৷ তাই তো কবিগুরুর কথায়, "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া একটি ধানের শিষের ওপরে একটি শিশির বিন্দু ৷"
বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র 10 কিলোমিটার গেলেই সোনাতপল গ্রাম ৷ অনেকেরই হয়তো জানা নেই, এই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন একটি জৈন মন্দির ৷ রেখা দেউল নামে পরিচিত এই সূর্য মন্দির মল্লরাজাদের রাজত্বকালের আগে তৈরি হয়েছিল নাকি তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয় তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ৷ স্থাপত্য শৈলীটি লম্বায় বক্ররেখার মতো যা দেউল নামে পরিচিত ৷ প্রায় 60 ফুট লম্বা, চারদিক চতুর্ভুজের মতো বেষ্টনী, পুরানো সরু ইটের দিয়ে তৈরি ৷ ইটের পর ইট সাজানো থাকার ফলে মন্দিরের চেহারাকে আরও আর্কষণীয় করে তুলেছে । মন্দিরের একটি বড় চূড়াটি অর্ধগোলাকার ৷ এই ধরনের দেউল রয়েছে এখনও তৎকালীন রাঢ়বঙ্গের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে ৷ বর্ধমানে রয়েছে সাতদেউলা, বাঁকুড়ার সোনাতপলের এই রেখা দেউল এবং দেউলঘাট রয়েছে পুরুলিয়ায় ৷ বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে তবে এখনও রেখা দেউলের গায়ে দেখা যায় সূক্ষ্ম কাজ ৷