আলিপুরদুয়ার, 10 এপ্রিল: খোলা বাজারে না কি বিকোবে বাইসনের মাংস ! এমন খবর শুনেই বাজারে ভিড় করেছিলেন ক্রেতারা ! ভোল বদলে সেই দলে সেঁধিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরাও ! উদ্দেশ্য, হাতেনাতে আইনভঙ্গকারীকে পাকড়াও করা ৷ সেই কাজে ষোলোয়ানা সফল বন দফতর ৷ বমাল গ্রেফতার মাংস বিক্রি করতে আসা দুই ব্যক্তি ৷ আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের রাঙ্গামাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে রবিবার ৷
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে গোপনে খবর এসেছিল ৷ কে বা কারা বাইসন শিকার করে তার মাংস বাজারে বিক্রি করতে আনছে ! বেআইনি এই কাজের খবর পেয়েই আসরে নামেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা রেঞ্জের বনকর্মীরা ৷ ক্রেতা সেজে সটান বাজারে পৌঁছে যান তাঁরা ৷ বাজার থেকে বাইসনের কাঁচা মাংস উদ্ধার করা হয় ৷ সেই মাংস বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার হন সন্ত বাহাদুর রাই ও সুখমন রাই নামে দুই ব্যক্তি ৷ তাঁরা সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগান এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷
ধৃতদের জেরা করে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পায় বন দফতর ৷ জানা যায়, কোনও এক ব্যক্তির পরিকল্পনা ও নির্দেশ অনুসারে জঙ্গলে বাইসন শিকার করা হয়েছিল ৷ সেই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে বন দফতর ৷ কিন্তু, তদন্তের স্বার্থে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি ৷ এদিকে, ধৃত দুই অভিযুক্তকে জেরা করে রবিবার সন্ধেয় বিশেষ অভিযানে নামেন বনকর্মীরা ৷ আনা হয় স্নিফার ডগ ৷ প্রশিক্ষিত কুকুর সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি ও তার আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয় ৷ সেই জঙ্গল থেকে আরও মাংস উদ্ধার করা হয় ৷ বন দফতরের দাবি, বাইসন শিকার করা জন্য বাড়িতেই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করতেন অভিযুক্তরা ৷ তাঁদের বাড়ি থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ উদ্ধার করা হয়েছে কুড়ুল ৷ যা দিয়ে মূলত বাইসনের মাংস কাটা হত ৷ এই ঘটনার পর ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ সোমবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হবে ৷